কৈশোরেই বলিউডে প্রবেশ করে রাতারাতি খ্যাতি পাওয়া, আবার হঠাৎ করে সেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু থেকে সরে যাওয়া—এই গল্পই নায়িকা সোনমের জীবনের মূল সুর। মাত্র ১৪ বছর বয়সে বলিউডে অভিষেকের পর মাধুরী দীক্ষিত, শ্রীদেবীর সমকক্ষ হয়ে ওঠেন তিনি। কাজ করেছেন অমিতাভ বচ্চন, ঋষি কাপুর ও নাসিরুদ্দিন শাহদের মতো কিংবদন্তি অভিনেতাদের সঙ্গেও। তবে ক্যারিয়ারের তুঙ্গ মুহূর্তেই এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যা বদলে দেয় তাঁর পুরো জীবনপথ।
১৯৮৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘বিজয়’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক ঘটে সোনমের। পরের বছরেই আসে ‘ত্রিদেব’ ও ‘আজুবা’র মতো বড় হিট ছবি। ‘ত্রিদেব’–এর জনপ্রিয় গান “ওয়ে ওয়ে…তিরছি টুপি ওয়ালে” তাঁকে রাতারাতি তারকাখ্যাতি এনে দেয়। কিন্তু মাত্র ১৮ বছর বয়সেই তিনি বিয়ে করেন নিজের থেকে দ্বিগুণ বয়সী পরিচালক রাজীব রাইকে। বিয়ের পর ধর্ম পরিবর্তন করে অভিনয়জগৎ থেকে সরে দাঁড়ান সোনম।
সে সময়ে সালমান খানের ‘বাগি’সহ বেশ কয়েকটি বড় বাজেটের ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন তিনি। মাত্র ২০ বছর বয়সে মা হওয়ার পর অভিনয়কে বিদায় জানিয়ে স্বামীর সঙ্গে বিদেশে চলে যান। কিন্তু খুব বেশি দিন সুখী দাম্পত্য টিকেনি।
রাজীব রাইয়ের আন্ডারওয়ার্ল্ড, বিশেষ করে আবু সালেমের সঙ্গে যোগাযোগের খবর নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়। এ কারণেই তাঁরা মুম্বাই ছেড়ে বিদেশে চলে যান। তবে বিদেশে স্থায়ী হতে চাননি সোনম। ছেলেকে নিয়ে দেশে ফিরে আসেন এবং একাই সন্তানকে মানুষ করতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত ছয় বছরের মাথায় তাঁদের দাম্পত্য ভেঙে যায়।
এরপর দীর্ঘ বিরতির পর ২০১৭ সালে আবারও বিয়ে করেন সোনম। স্বামী মুরালি চলচ্চিত্রজগতের কেউ নন। দ্বিতীয় বিয়ের খবরও তিনি গোপন রেখেছিলেন প্রায় আট বছর। অবশেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টের মাধ্যমে খবরটি প্রকাশ করেন।
সব উত্থান–পতন পেরিয়েও জীবনের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে গেছেন সোনম। একাই সন্তান গৌরবকে বড় করেছেন। যদিও সিনেমায় আর ফেরা হয়নি, তবে বলিউড ভক্তদের কাছে তিনি আজও এক নস্টালজিয়ার নাম। বিশেষ করে ‘ওয়ে ওয়ে’ গানে তাঁর পারফরম্যান্স এখনও দর্শকদের মনে রয়ে গেছে।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়াডটকম