গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনাকে ঘিরে দেশজুড়ে আলোচনার প্রেক্ষাপটে সরকার একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম শনিবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
প্রেস সচিব বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
বৈঠকের সময়সূচি অনুযায়ী, বিকেল ৩টায় বিএনপির সঙ্গে, সাড়ে ৪টায় জামায়াতে ইসলামী এবং সন্ধ্যা ৬টায় নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। শফিকুল আলম বলেন, এই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সবার সঙ্গে মতবিনিময়ের মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা।
এর আগে শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় জাতীয় পার্টি (জাপা) ও গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। জাপার কার্যালয়ের সামনে দিয়ে গণঅধিকার পরিষদের একটি মিছিল যাওয়ার সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এসময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হস্তক্ষেপ করে। সংঘর্ষের পর গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ের সামনে সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতির সময় পুলিশি লাঠিচার্জে নুরুল হক নুরসহ তার দলের আরও বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন।
বর্তমানে নুরুল হক নুর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার মাথার হাড় ভেঙে গেছে, এ ছাড়া নাকের হাড় ও ডান চোয়ালের হাড়েও আঘাত লেগেছে। মাথার ভেতরে সামান্য রক্তক্ষরণ হলেও অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। চোখ-মুখ ফোলা এবং চোখে রক্ত জমে থাকায় তার শারীরিক অবস্থা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এজন্য একটি বিশেষ মেডিকেল বোর্ড গঠন করে তার চিকিৎসা সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে। তবে শরীরের অন্য কোথাও গুরুতর আঘাত পাওয়া যায়নি বলে চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করেছেন।