সৈয়দপুরে অন্যের ক্ষতি করতে গিয়ে নিজেও অজ্ঞান হয়ে হাসপাতালে

এফএনএস (ওবায়দুল ইসলাম; সৈয়দপুর, নীলফামারী) : | প্রকাশ: ৩০ আগস্ট, ২০২৫, ০৬:০১ পিএম
সৈয়দপুরে অন্যের ক্ষতি করতে গিয়ে নিজেও অজ্ঞান হয়ে হাসপাতালে

নীলফামারীর সৈয়দপুরে ট্রেনের যাত্রী মা-মেয়েকে জুসের সাথে চেতনানাশক পান করিয়ে অজ্ঞান করে এক প্রতারক। এ সময় সে খুলে নেন কানের দুল ও নাকের ফুল। বিষয়টি পাশের যাত্রীরা আঁচ করতে পেরে সেখানে থাকা এক ব্যক্তিকে আটক করে। ওই ব্যক্তি অজ্ঞান পার্টির সদস্য ফুল মিয়া তার নাম। যাত্রীরা তাঁর কাছে জুসের বোতল পান। শেষে পরিক্ষা করতে ওই খাওয়ানো হয় তাকে। জুস খাওয়ার পর তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। সৈয়দপুর রেলওয়ে পুলিশ দুই ভুক্তভোগীসহ অজ্ঞান পার্টির সদস্যকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে।

৩০ আগষ্ট খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনে এটি ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মাহমুদ-উন নবী।

অজ্ঞান পার্টি চক্রের মূলহোতা ফুল মিয়া রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার আব্দুল্লাপুরের আব্দুস ছামাদের ছেলে। ভুক্তভোগী যাত্রীরা হলেন ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার করনাই এলাকার দক্ষিণ মালঞ্চ গ্রামের ইশনী রায়ের স্ত্রী কৌশিলা রায় (৫০) ও মেয়ে বীথি রানী (২৮)।

রেলওয়ে পুলিশ জানায়, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের ’ঝ’ বগির ৭৮, ৭৯ নম্বর সিটের যাত্রী ছিলেন কৌশিলা ও বীথি। তাঁরা দিনাজপুরের বিরামপুর স্টেশন থেকে সৈয়দপুরে আসছিলেন। পাশের ৭৭ নম্বর সিটের যাত্রী ছিলেন অজ্ঞান পার্টি চক্রের মূল হোতা ফুল মিয়া। আলাপচারিতার একপর্যায়ে মা-মেয়েকে জুস পান করান তিনি। এতে ভুক্তভোগীরা অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাঁদের কানের দুল ও নাকের ফুল খুলে নেয় ফুল মিয়া। 

এ সময় পাশের যাত্রী আব্দুর রহিম (অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা) বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ফুল মিয়াকে আটক করে ওই বগির যাত্রীদের বিষয়টি অবগত করেন। আটক ওই প্রতারক বিষয়টি অস্বীকার করলে যাত্রীরা তাঁর কাছে থাকা অবশিষ্ট জুস তাঁকে পান করতে বাধ্য করেন। এতে ফুল মিয়া নিজেই অজ্ঞান হয়ে পড়লে সবার কাছে প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। যাত্রীরা তাৎক্ষণিক ট্রেনে দায়িত্বরত আরএনবি পুলিশকে অবগত করে তাদের হাতে তুলে দেয়।

সৈয়দপুর জিআরপি থানার ওসি জানান,তিন জনকেই সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কৌশিলা রায়ের ছেলে রবীন্দ্র নাথ রায় বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে