পাবনার ভাঙ্গুড়ায় সড়কের ওপর থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত পরিচয় দুই ছিন্নমূল নারীর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করেছে থানা-পুলিশ। সড়কের পাশে ঘুমন্ত অবস্থায় লরি চাপায় নিহত হয়েছেন ওই দুই নারী। এ সময় প্রাণ কোম্পানির দুধের ওই লরিটি চালাচ্ছিলেন হেলপার। আর পাশের সিটে বসে ছিলেন চালক। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই লরির চালক আলাল মিয়া (৫৭) ও হেলপার লিমন আলীকে (২৫) গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে পুলিশকে এ তথ্য জানান তারা । এর আগে অবস্থান শনাক্ত করে পার্শ্ববর্তী গুনাইগাছা প্রাণ হাব থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া লরি চালকের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় ও হেলপারের বাড়ি পার্শ্ববর্তী চাটমোহর উপজেলায়। আজ শনিবার দুপুরে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
এদিকে ঘটনার ১২ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও অজ্ঞাত ওই দুই নারীর পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
ওসি জানান, নিহত দুই নারী রাতের বেলায় পৌরসভার চৌবাড়ীয়া উত্তরপাড়া এলাকার পাকা সড়কের পাশে ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোর রাতে প্রাণ কোম্পানির দুধের লরির চাপায় মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়ে মগজ বের হয়ে যায় । এতে ঘটনাস্থলেই তাদের করুণ মৃত্যু হয়।
তিনি আরো জানান, নিহতদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাচ না হওয়ায় তাদের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ঘটনার পরপরই ময়নাতদন্ত শেষে লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে পাবনা আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামে দাফন করা হয়েছে। এঘটনায় সড়ক আইনে থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। দুধের লরিটি থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ আগস্ট সকালে ভাঙ্গুড়া পৌরসভার চৌবাড়িয়া উত্তরপাড়া এলাকার পাকা সড়কের ওপর থেকে মাথা থেকে মগজ বের হয়ে যাওয়া অবস্থায় অজ্ঞাত পরিচয় ওই দুই ছিন্নমূল নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়।