নীলফামারীর সৈয়দপুরে নেসকো পিএলসি কোম্পানির প্রিপেইড মিটার এখন গ্রাহকের গলার কাটায় পরিণত হয়েছে। ওই মিটারে গ্রাহকের সাথে তালবাহানা নয় অনেকটা প্রতারণা করা হচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশে এ মিটার এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে কয়েক বছর পুর্বে ডিজিটাল মিটার খুলে স্থাপন করা হয় প্রিপেইড মিটার।
এ মিটার লাগানো হয় অনেকটা গ্রাহকের ইচ্ছার বিরুদ্ধে। নেসকো কোম্পানির একদল বাহিনী এসে কোন প্রকার পরামর্শ ছাড়াই নিজের মত করে পুর্বের ডিজিটাল মিটার খুলে নেসকোর।প্রিপেইড মিটার বসিয়ে দেয়। ওই মিটার বসানোর কিছুদিন পর গ্রাহকদের দেয়া হয় একটি জরুরি বার্তা। ওই বার্তায় বলা হয় সকলকে ইউনিট বাড়াতে হবে। যদি কেউ এ আদেশ অমাণ্য করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। নিরুপায় হয়ে সাধারণ গ্রাহকরা ইউনিট বাড়ান।
পুর্বের ডিজিটাল মিটাটে যেখানে বিদ্যুৎ বিল আসতো ৫শ থেকে ৬শ টাকা। এখন প্রিপেইড মিটারে বিল আসছে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫শ টাকা। এমন বিল আসছে যাদের বাসায় বলা চলে কিছুই নেই। একটি ফ্রীজ,৩টি সাধারণ বাল্প, ২টি সেলিং ফ্যান। বিল আসছে ৩ হাজার টাকা। এ মিটারের মুল্য কত তাও অজানা গ্রাহকদের। নেসকো কর্তৃক প্রতিমাসে কেটে নেয়া হচ্ছে মিটার ভাড়া, সার্ভিস চার্জ। এটা কত বছর চলবে তার কোন জবাব নেই নেসকো কর্তৃপক্ষের কাছে।
বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ নেসকো পিএলসি সৈয়দপুর অফিস সুত্র জানায়,সৈয়দপুরে বর্তমানে বিদ্যুৎ গ্রাহক আছে জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত ৫৮ হাজার ৬৯ জন। এদের মধ্যে আবাসিক গ্রাহক অর্ধেকেরও বেশি। অবশিষ্ট বানিজ্যিক এবং শিল্গ কারখানা। তবে আবাসিক এলাকার বিল এক প্রকার আর বাণিজ্যিক এলাকার বিল আরেক প্রকার। তাছাড়া সময় অনুযায়ি বিদ্যুতের ইউনিট বিল আসে। যা আমরা অনেকেই জানি না। এ সকল গ্রাহক এখন দিশেহারা। গ্রাহকরা এখন আর এ মিটার ব্যবহার করতে চায় না। কিন্তু গ্রাহকদের এ দাবি নিয়ে নেসকোর কোন মাথা ব্যথা নেই। নেসকোর এ ধরনের বাড়তি বিলের হাত থেকে গ্রাহকরা মুক্তি চায়।
সৈয়দপুর শহরের প্রেস ব্যবসায়ি সামিউল ইসলাম বলেন, লোড দিলেও কেটে নেয়া হয় টাকা। এ টাকা কত বছর কাটা হবে তা জানি না।
মুন্সিপাড়া এলাকার গ্রাহক বাবলু হোসেন জানান, নেসকোর এ মিটার বসিয়ে আমি এখন দিশেহারা। বাসায় তেমন কিছুই নেই কিন্তু বিল আসছে অনেক বেশি।
শহরের তামান্না মোড়ের এক ওষুধ ব্যবসায়ি জানান,মিটারে অতিরিক্ত বিল আসছে। অভিযোগ দিয়েও কোন ফল পাচ্ছি না। অতিরিক্ত টাকা কাটা হচ্ছে মিটারে। গ্রাহকরা অনেকে এ মিটার ব্যবহারে অনিহা।
সৈয়দপুর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ নেসকো পিএলসির আবাসিক নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ উজ্জল আলী বলেন,প্রিপেইড মিটারের বাড়তি বিল নিয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। যদি কেউ করে তাহলে বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। তারা যে নির্দেশনা দেবে সে অনুযায়ি ব্যবস্থা নেয়া হবে।