মদ বিক্রি না করায় টঙ্গীর জাবান হোটেলে ভাংচুর-লুটপাট

মোঃ জাকির হোসেন; বিশেষ প্রতিনিধি | প্রকাশ: ৩১ আগস্ট, ২০২৫, ০৫:৩০ পিএম
মদ বিক্রি না করায় টঙ্গীর জাবান হোটেলে ভাংচুর-লুটপাট
টঙ্গীতে নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পর ভোর বেলায় মদ বিক্রি না করায় হোটেল কর্মচারী-নিরাপত্তাকর্মীদের মারধর ও ক্যাশবাক্স লুটের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার ভোরে টঙ্গীর আমতলি এলাকার তিন তারকাবিশিষ্ট জাবান হোটেলে। এঘটনায় জাবান হোটেলের আইটি ম্যানেজার মোঃ রাকিব হাসান বাদী হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। হোটেল জাবান কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোররাতে উত্তরা থেকে আজাদ (২৯), রিমন (৩৮), জাহিদ (৩২), সুব্রত (৩০), ও রোজা (২৫)সহ ৬ জন পুরুষ ও একজন নারী তাদের হোটেলে এসে এলোমেলো কথা বলতে থাকেন। এ সময় তারা নাস্তা খাওয়ার কথা বলে হোটেলের ১০তলায় উঠে যায় । তাৎক্ষণিক তারা সেখান থেকে ৯ তলার বার কাউন্টারে জোরপূর্বক ঢুকে গিয়ে ১ বোতল বিদেশি হুইস্কি মদ চায়। হোটেল কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট সময়ের পর মদ বিক্রি নিষেধ এবং ৬জন পুরুষের সাথে একই রুমে ১জন নারীকে নিয়ে অবস্থানে অস্বীকৃতি জানান। এর পর পরই তারা সংঘবদ্ধ হয়ে ম্যানেজার আজিজ ও অন্যান্য কর্মচারীদের বেদম মারধর করে ক্যাশ থেকে এক লাখ টাকা লুটে নেয়। একাধিক সুত্রে জানা যায়, ওইচক্রটি প্রায়ই গুলশান, বনানী ও উত্তরার বিভিন্ন মদের বার গুলোতে নিয়মিত আসা যাওয়া করে। ওইসব বারে গিয়ে তারা প্রতিনিয়ত অতিরিক্ত মদ পান করে । রাতের বেলায় বারের পাশাপাশি প্রায় সময় রাস্তায় ও মাতালামি করে। এ ছাড়াও তারা রাতবিরাতে এদিক সেদিন ঘুরে বেড়ায় এবং কারণে অকারণে মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোঃ রিমনের সাথে যোগাযোগ করা হলে টাকা লুটে নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, ওই দিন আমরা কয়েকজন সকালের নাশতা খাওয়ার জন্য টঙ্গীর জাবান হোটেলে যাই। আমাদেরকে হোটেল কর্মচারীরা বেদম মারধর করে। এঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি। এব্যাপারে জাবান হোটেলের পরিচালক সায়মন বলেন, জাবান হোটেলে কোনো নাস্তা বিক্রি করা হয় না। তারা উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে এসেছে, হোটেল স্টাফদের মারধর করে হোটেলের রিপিটেশন খারাপ করতে ভোররাতে এসেছে। এব্যাপারে টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম বলেন, উভয়পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে