মল্লিকা বানু, বয়স ১২০ বছর। তিন ছেলে এক মেয়ে রেখে স্বামী হাসু মিয়া ৪৫ বছর পূর্বে মৃত্যু বরণ করেন। ছোট ছেলে কাদির মিয়াও (৭০) একজন হত দরিদ্র দিন মজুর। তার সাথেই থাকেন মা মল্লিকা বানু। আয় রোজগার বলতে তেমন কিছু নেই। দিন মজুরি করে যা পান তা দিয়েই চলে সংসার। তার রোজগার থেকেই যৎ সামান্য মাকে খাওয়ান। মল্লিকা বানু উপজেলার সহশ্রাম ধূলদিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড পুরুরা গ্রামের মৃত হাসু মিয়ার স্ত্রী। অভাবের তারণায় শতোর্ধ মল্লিকা বানু আছেন খুবই দুর্দশাগ্রস্থ। তিন বেলা খাবার ঠিকমত জুটে না। ওষুধ, চিকিৎসা তো দুরের কথা। এলাকা বা উপজেলায় তাঁর সমবয়সী দ্বিতীয় ব্যক্তি খোঁজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু অদৃশ্য কারণে মল্লিকা বানুর ভাগ্যে জুটেনি একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড বা সরকারি কোন অনুদান।
সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, বয়সের ভারে নুহ্য জীর্ণশীর্ণ শরীরে বসে আছেন চৌকিতে৷ খাবারের অভাবে বিলাপ করছেন। ছেলে কাদির মিয়া বলেন, 'মায়ের বয়স ১২০ বছরের অধিক। অভাবের কারণে আমরা খুব অসহায় দিন কাটাচ্ছি৷ মায়ের মুখে তিনবেলা খাবার দিতে পারছিনা৷ ইচ্ছে থাকলেও কিছুই করতে পারছি না। সরকারি কোন সহায়তা বা বয়স্ক ভাতার কার্ড পাইনি ৷" পাইলে দুঃখ কিছুটা লাঘব হতো।
এলাকাবাসী জানায়, এক সময় মল্লিকা বানু ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন৷ কিন্তু বর্তমানে চলাফেরা করতে না পারার কারণে খুব কষ্টে দিন কাটছে ৷ সরকারি সহায়তা পেলে দুর্দশা থেকে মুক্তি পাবেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাঈদুল ইসলাম বলেন, 'বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক৷ শতোর্ধ বৃদ্ধা ভাতা পাবেনা এটা হতেই পারেনা ৷ আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি, নিজে গিয়ে তাকে সাধ্যমত সহায়তা ও খাবার দিয়ে আসবো। পাশাপাশি বয়স্ক ভাতা সহ যাবতীয় সহায়তা করার পদক্ষেপ নেয়া হবে।