নড়াইলে ১৯৯৮ সালের একটি ভয়ঙ্কর ডাকাতি ঘটনায় বাড়ির মালিককে হত্যার দায়ে পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এলিনা আক্তার এ রায় দেন। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও পাঁচ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতের নির্দেশে সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে চারজন পলাতক রয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন নড়াইল সদর উপজেলার ধুড়িয়া গ্রামের আব্দুর রশিদ মুন্সির ছেলে শাহিন মুন্সি, ভওয়াখালী গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে আক্তারুজ্জামান বাবুল, সলেমানের ছেলে সেলিম, ফেদী গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে নজরুল ইসলাম মৃধা এবং মাগুরা জেলার খানপুর গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে তেজারত মোল্যা। তবে তেজারত মোল্যা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলায় তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলার এজাহার ও আদালতের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯৮ সালের ২৪ জুন নড়াইল সদর উপজেলার ভওয়াখালী গ্রামে নির্মল পোদ্দারের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। রাতে আনুমানিক ১১টার সময় অজ্ঞাত আসামিরা বাড়িতে প্রবেশ করে সবাইকে অস্ত্রের মুখে বাধ্য করে। এসময় নির্মল পোদ্দার ডাকাতদের কোপে মারাত্মকভাবে আহত হন। ডাকাতরা প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে চলে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় নির্মল পোদ্দার মারা যান। পরবর্তীতে নিহতের মেয়ে পলি পোদ্দার নড়াইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ ২৭ বছরের বিচারিক প্রক্রিয়ার পর মোট ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও প্রমাণের আলোকে আদালত আজ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এই রায় দিয়ে আদালত একটি দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার পর ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে, যা সাম্প্রতিক সময়ে স্থানীয় আদালতের গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।