সাংবাদিক নির্যাতনের আলোচিত মামলায় কুড়িগ্রামের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুলতানা পারভীনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুড়িগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোছাম্মৎ ইসমত আরা বেগম এই আদেশ দেন।
এর আগে সেদিন বেলা ১১টার দিকে তিনি জামিনের আবেদন নিয়ে আদালতে হাজির হন। শুনানি শেষে বিকেলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত সাধারণ মানুষ ও গণমাধ্যমকর্মীদের ভিড়ে সুলতানা পারভীনকে দেখতে ভিড় জমে যায়।
রাষ্ট্রপক্ষের পক্ষে মামলায় আইনজীবী ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. বজলুর রশিদ ও অ্যাডভোকেট আজিজার রহমান দুলু। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলাম। আইনজীবী ফখরুল ইসলাম বলেন, “আমরা আদালতের রায়ের প্রতি সম্মান জানাই। আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আমার কোনো বক্তব্য নেই।”
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৩ মার্চ দিবাগত রাতে বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম রিগানের বাড়িতে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসনের একটি টিম। চোখ বেঁধে তাকে তুলে এনে ডিসি অফিসে শারীরিক নির্যাতনের পর মাদক রাখার অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এক বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এই ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনা শুরু হলে সাংবাদিক আরিফুল জামিনে মুক্তি পান এবং পরে মামলা দায়ের করেন।
সে মামলায় সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীন প্রধান আসামি। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার পর তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্ত ছিলেন। স্থায়ী জামিনের জন্য মঙ্গলবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করা হয় এবং কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ আসে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আজিজার রহমান দুলু বলেন, “চার্জশিটভুক্ত প্রধান আসামিকে কারাগারে পাঠানোর মাধ্যমে আমরা প্রাথমিকভাবে ন্যায়বিচারের সুরক্ষা পেলাম।”