কাহারোলে ধান ক্ষেতে পোকা দমনে পাচিং পদ্ধতিতে লাভবান কৃষক

এফএনএস (মোঃ আব্দুল্লাহ; কাহারোল, দিনাজপুর) : | প্রকাশ: ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০২:২৬ পিএম
কাহারোলে ধান ক্ষেতে পোকা দমনে পাচিং পদ্ধতিতে লাভবান কৃষক

দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের রোপা আমন মৌসুমে মাঠে-মাঠে পাচিং দিয়ে ধান ক্ষেতে পোকা দমন জনপ্রিয়তা বাড়ছে। ধানক্ষেতে পাচিং পদ্ধতি প্রয়োগ করে ক্ষতিকারক পোকা দমন করতে পারছে স্থানীয় কৃষকেরা। এতে পোকা দমনে কীটনাশকের ব্যবহার দিন দিন বহুলাংশে কমে যাচ্ছে ফলে ধান উৎপাদন খরচ অনেকাংশ কমে যাবে বলে মনে করছেন অনেক কৃষক। কৃষক ধানক্ষেতে পোকা দমনে গাছের ডাল, বাঁশের কঞ্চি পুঁতে রেখে এবং ঐসব ডালে এবং ঐ কঞ্চিতে পাখিরা বসে বিভিন্ন পোকা-মাকড় ধরে খাচ্ছে। 

উপজেলার ডাবর ইউ,পি’র ডাবর ব্লকের কৃষি উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: বুলবুল ও রাঙ্গাচাটা ব্লকের কৃষি উপ সহকারী কর্মকর্তা এস,এ,এম মোঃ আব্দুর রহিম উভয়ে জানান, পাচিং একটি কার্যকর পোকা দমনের ব্যবস্থা। এই পদ্ধতিতে এলাকার প্রতিটি কৃষক ব্যাপকভাবে গ্রহণ করেছে এবং ভালো উপকার পাচ্ছে। এতে করে এলাকার কৃষকগণ উপকারী ও অপকারী পোকা সহজেই চিনতে পারছেন। তারগাঁও ইউনিয়নের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: জাকির হোসেন বলেন, এলাকার কৃষকেরা যে কোন পোকা দেখলেই কীটনাশক দিতে হবে - এই ধারণা যেন ভুল তা সহজেই বুঝতে পারছে। উপজেলার বলেয়া গ্রামের কৃষক স্বর্গমোহন জানান, ধানক্ষেতে বাঁশের কঞ্চিতে পাখি বসে পোকা মাকড় ধরে খায় এতে ক্ষেতে পোকার আক্রমণ অনেকাংশে কমে গেছে। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, পাখি পাচিং এ বসে এতে ক্ষতিকারক পোকা খেলে ২৫০ থেকে ১৫০টি পোকা দমন হয়। কারণ, ১টি ক্ষতিকারক পোকা ২৫০ থেকে ১৫০টি ডিম পাড়ে। তবে পাচিং জমির আইল থেকে ধানক্ষেতের মাঝামাঝি অবস্থান দেওয়াই ভাল। 

কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মল্লিকা রানি সেহানবীশ বলেন, জমিতে পাচিং করলে সহজেই ফসলের ক্ষতিকারক পোকা খেয়ে ধ্বংস করে। পোকা বংশ বিস্তার করতে পারে না। এতে কৃষক অনেক উপকৃত হয়। এতে করে কীটনাশকের ব্যবহার অনেকটা কমে যাবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে