নীলফামারীর সৈয়দপুরে ৭ দফা দাবি বাস্তবায়নে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র- শিক্ষক পেশাজীবী সংগ্রাম পরিষদ দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলন করে আসছে। তারই অংশ হিসাবে ৩ সেপ্টেম্বর সারাদেশের ন্যায় সৈয়দপুরেও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র শিক্ষক পেশাজীবী সংগ্রাম পরিষদ ওই কর্মসূচি পালন করে। চলমান ৭ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইতিবাচক আন্দোলন হিসাবে তারা দাপ্তরিক কাজ শেষে অতিরিক্ত ১ ঘন্টা কর্মপালন করা হয়।
ওই কর্মসূচীর সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার্স, বাংলাদেশ, সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলা শাখা। বুধবার সৈয়দপুরে বিভিন্ন সংস্থা বাংলাদেশ রেলওয়ে,বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, নেসকো লিমিটেড, পানি উন্নয়ন বোর্ড, পিজিসিবি, পৌরসভা, বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন অথরিটি, টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ,এলজিইডি, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ডিপ্লোমা প্রকৌশলীগণ তাদের স্ব-স্ব কর্মস্থলে দাপ্তরিক কাজ শেষে আরও ১ ঘন্টা অতিরিক্ত কর্মপালন করেন।
এ ব্যাপারে অত্র সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোমিনুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারগণ এদেশের উন্নয়ন,উৎপাদন ও প্রকৌশল কর্মকান্ডে শতকরা ৮৫ ভাগ কাজ মাঠ পর্যায়ে সরাসরি অংশগ্রহণের মাধ্যমে করে থাকেন। সুতরাং আমরা মনে করি, কোনো একটি অশুভ চক্র এদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে বাধাগ্রস্থ করার জন্য প্রকৌশল সেক্টরকে ধ্বংস করতে একটি মীমাংসিত অধ্যায়কে প্রশ্নবিদ্ধ করে সকলের সামনে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়ার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার অবসরপ্রাপ্ত এক প্রকৌশলী বলেন,ডিপ্লোমা প্রকৌশলিরা হাতে কলমে কাজ করে। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে একজন দক্ষ মিস্ত্রী তৈরি হয়। আর ওই মিস্ত্রীর নিখুঁদ হাতের ছোঁয়ায় একটা কোম্পানির উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে উঠে।