টেকনাফের সর্বত্র বিশেষতঃ পৌরসভা এলাকা ও সেন্টমার্টিনদ্বীপে বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ পৌরসভার বিভিন্ন অলিগলিতে ও পাড়া-মহল্লায় যেদিকে চোখ যায় কুকুর আর কুকুর। এর মধ্যে এখন ভাদ্র মাস হওয়ায় কুকুরের উপদ্রব অসহনীয়ভাবে বেড়ে গেছে।
পৌর এলাকার জনসাধারণের রাস্তায় কুকুর আতংকে চলাচল করতে হচ্ছে। কুকুর নিধনের বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষের দায়-দায়িত্ব থাকলেও কার্যকরী কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
টেকনাফ পৌর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, টেকনাফ পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ স্থান স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, উপজেলা কার্যালয়, হাসপাতাল, পল্লী বিদ্যুৎ অফিস, বাস ষ্টেশন, লামার বাজার, উপরের বাজার, শাপলা চত্বর, জিপ ষ্টেশন ও বিভিন্ন মার্কেটগুলো বেওয়ারিশ কুকুরের দখলে। এসব গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে আসা-যাওয়া করতে চোখে পড়ে ডজন ডজন কুকুরের ঝাঁক।
টেকনাফ মডেল থানার ভেতরেও দেখা মেলে ঝাঁকে ঝাঁকে কুকুর।
এদিকে ভাদ্র মাস আসার সাথে সাথে কুকুরের উৎপাত অসংখ্যভাবে বেড়ে গেছে। ২০০০ সালে টেকনাফ পৌরসভা স্থাপিত হয়। এর পর থেকে ২/৩ বার বেওয়ারিশ কুকুর নিধন করা হয়েছিল।
এরপর দীর্ঘ বছর ধরে বেওয়ারিশ কুকুর নিধন করা হচ্ছে না বিধায় টেকনাফ পৌরসভায় কুকুরের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলছে। বর্তমানে বেওয়ারিশ কুকুরের কামড় থেকে বাঁচতে আতংকে দিন কাটাচ্ছে টেকনাফ পৌরবাসী।
প্রতিদিন সকালে অভিভাবকরা সন্তানদের স্কুল-মাদ্রাসায় পাঠিয়ে কুকুর আতংকে দুশ্চিন্তায় থাকেন। কারণ যে কোন মুহূর্তে তাদের আদরের সন্তানকে কুকুর আক্রমণ করতে পারে।
তাই টেকনাফ পৌরসভার সচেতন জনসাধারণও অভিভাবকদের দাবি বাংলাদেশের প্রতিটি পৌরসভার ন্যায় প্রতিবছর টেকনাফ পৌরসভায় বেওয়ারিশ কুকুর নিধন করা প্রয়োজন। তা না হলে পৌরএলাকার লোকজন ও স্কুলগামী কোমলমতি শিশুরা কুকুরের কামড় থেকে রেহাই পাবেনা।