টানা কয়েক দিনের অচলাবস্থার পর সমাধানের পথে এগোলো নীলফামারীর উত্তরা এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন (ইপিজেড)। শ্রমিকদের উত্থাপিত ২৩ দফা দাবি মেনে নিতে সম্মত হয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ছাঁটাই হওয়া শ্রমিকদের পুনর্বহালও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ফলে বন্ধ থাকা কারখানাগুলো আবার কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) থেকে ইপিজেডের সব কারখানা খুলে দেওয়া হবে। তবে এভারগ্রীন কোম্পানির কার্যক্রম শুরু হবে শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) থেকে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে উত্তরা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল জব্বার গণমাধ্যমকে জানান, শ্রমিকদের দাবিগুলো নিয়ে আলোচনায় সমঝোতা হয়েছে। তিনি বলেন, “২৩ দফা দাবির বিষয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা এবং উৎপাদন কার্যক্রম সচল রাখার জন্য বৃহস্পতিবার থেকে ইপিজেডের সব কারখানা খোলা হবে। তবে এভারগ্রীন শনিবার থেকে উৎপাদনে ফিরবে।”
উল্লেখ্য, গত শনিবার (৩০ আগস্ট) এভারগ্রীন কোম্পানির শ্রমিকরা ২৩ দফা দাবি জানিয়ে আন্দোলনে নামেন। পরে এ দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইপিজেডের অন্যান্য কারখানার শ্রমিকরাও আন্দোলনে যোগ দেন। টানা আন্দোলন ও উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) যৌথবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে একজন শ্রমিক নিহত হন এবং অন্তত ১৫ জন আহত হন। পরবর্তীতে নিরাপত্তাজনিত কারণে ইপিজেডের সব কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আন্দোলনের পটভূমি ও সাম্প্রতিক রক্তক্ষয়ী ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিক নেতাদের বৈঠকে সমাধান আসায় আবারো স্বাভাবিকতায় ফেরার আশা তৈরি হয়েছে। সমঝোতার ফলে শ্রমিকদের ক্ষোভ প্রশমিত হবে বলে প্রত্যাশা করছেন স্থানীয় প্রশাসন ও শিল্প সংশ্লিষ্টরা।