দিনাজপুরের খানসামায় ব্রাক কর্মী নারী সহ আটক

এফএনএস (সিকান্দার আলী কাবুল; খানসামা, দিনাজপুর) : | প্রকাশ: ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৮:০০ পিএম
দিনাজপুরের খানসামায় ব্রাক কর্মী নারী সহ আটক

দিনাজপুরের খানসামায় কলেজ পাড়ায় মতিয়ার রহমান এর বাসায় ভারা থাকতেন নুরন্নবী নামক এক ব্যাক্তি। কিছু দিন আগে তার বদলি হয় অন্য জায়গায় , তিনি উক্ত বাসা ছেড়ে না দেওয়ায় কারনে তার গ্রামের জয়পুরহাট সদরের আটোয়ারা গ্রামের এমদাদুল হক এর পুত্র ইমরান হোসেন তার বক্তব্যে বলেন , একই এলাকার জয়পুরহাটের শেখ পাড়ার কামাল পাশার পুত্র গোলাম সাকলাইল ( ব্রাক কর্মী ) গালফ্রেন্ড  নিয়ে খানসামা কলেজ পাড়ায় মতিয়ার রহমান এর বাসায় রাত ৯ টার সময় ওঠেন। 

একপর্যায়ে গোলাম সাকলাইল উক্ত নারীর সাথে অনৈতিক কর্মকান্ড চলাকালীন সময় খানসামা থানার এস আই সাহিন সাঈদ ও কনস্টেবল এসএম মুক্তাফি রাত ১২ টা থেকে ভোর ৪ টা প্রর্যন্ত উক্ত বাসায় বিভিন্ন রকমের অভিযান চালান। 

পাশ্ববর্তী রুমে থাকা অপর ভাড়াটিয়া কোরআন শিক্ষার এক নুরুল ইসলাম হুজুরকে এসআই ও কনস্টেবল মারপিট করেন এবং বিভিন্ন বিষয় জিঙ্গাসাবাদ করেন এবং টাকা দাবি করেন টাকা দেওয়ায় হুজুরকে মারধর করেন পাশ্ববর্তী বাসার মালিক আঃওয়াহাব মাষ্টার ,রবিউল হাফেজ সহ অনেকেই ভোর ৪ টায়  ঘটনা স্থলে উপস্থিত ছিলেন।এবং হুজুরের ২ টি মোবাইল নিয়ে নেন।

জানাগেছে এস আই ও কনস্টেবল ,উক্ত নারী সহ ইমরান হোসেন ও গোলাম সাকলাইলের নিকট থেকে ১০ হাজার টাকা ,২ টি মোবাইল ,১ টি ট্যাপ ও ২ টি মোটরসাইকেল নিয়ে তাদেরকে বাড়ি থেকে তারিয়ে দেন।

এ বিষয়ে এসআই শাহিন সাঈদ  ও কনস্টেবল এসএম মুক্তাফি জানান উক্ত বাসায় দির্ঘ দিন ধরে অনৈতিক কর্মকান্ডের অথ্য পাওয়ার পর ঐ বাসায় আমরা ও ভাড়া নেই ,ফলে আজকে ব্যাক্তিগত ভাবে অভিযান পরিচালনা করে এবং থানায় চলে আসি।

এ বিষয়ে খানসামা থানা অফিসার ইনচার্জ নজমুল হক জানান এস আই সাহিন সাঈদ ও কনস্টেবল এসএম মুক্তাফি গতকাল ৩ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর পুলিশ হাসপাতালে ভর্তির জন্য সিসিনিয়ে যায়।কিন্তু পরর্বতীতে থানায় ফিরে  আসে নাই। 

নারী নিয়ে আসা ব্রাক কর্মী সাকলাইন ,ইমরান হোসেন ও হুজুর নুরুল ইসলাম এবং বাড়ির মালিক ,স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ মৌখিক ভাবে থানায় এসে অভিযোগ করেন। এসআই ও কনস্টেবল এর বিষয়ে থানায় জিডি করা হয়,এবং প্রতিবেদন পুলিশ সুপার দিনাজপুর বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে