যাত্রী বাড়ায় রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের আয় বাড়ছে

এফএনএস এক্সক্লুসিভ | প্রকাশ: ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৮:১০ এএম
যাত্রী বাড়ায় রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের আয় বাড়ছে

যাত্রী বাড়ায় রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের আয়ও বাড়ছে। পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের আওতায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ রয়েছে। পূর্বাঞ্চলের ২৯ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেনে গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১ কোটি ৫১ লাখ যাত্রী ভ্রমণ করেছে। তাদের কাছ থেকে ৫০৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা ভাড়া আদায় হয়েছে। তবে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে সবচেয়ে বেশি আয় হয়েছে। তাছাড়া পর্যটন নগরী কক্সবাজারে নতুন চালু হওয়া ঢাকা-কক্সবাজার রুটও দ্রুতই শীর্ষে উঠে এসেছে আয় ও জনপ্রিয়তায়। রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ঢাকা ও চট্টগ্রাম দেশের দুই গুরুত্বপূর্ণ শহরের মধ্যে সংযোগকারী রেল রুটে ৬ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন যাতায়াত করে। ওসব ট্রেনে এক বছরে ৪০ লাখ ৩৮ হাজার ৭৩৩ যাত্রী যাতায়াত করেছেন। ওই রুট থেকে রেলের ১৬৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা আয় হয়েছে। তার মধ্যে তূর্ণা এক্সপ্রেস থেকে ৩১ কোটি ২০ লাখ টাকা, সুবর্ণ এক্সপ্রেস থেকে ২৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ও সোনার বাংলা এক্সপ্রেস থেকে ২৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা আয় হয়েছে। 

সূত্র জানায়, মাত্র দেড় বছরের মধ্যেই নতুন চালু হওয়া ঢাকা-কক্সবাজার রুটটি যাত্রীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মূলত সড়কপথের যানজট ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে অনেকেই ওই রুট বেছে নিচ্ছেন। গত এক বছরে ঢাকা-কক্সবাজার রুটের দুই জোড়া ট্রেন থেকে ৮৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা আয় হয়েছে। তার মধ্যে কক্সবাজার এক্সপ্রেস থেকে ৪৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা ও পর্যটক এক্সপ্রেস থেকে ৩৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা আয় হয়েছে। ওই দুই ট্রেনে ১০ লাখ ২৯ হাজার ২৬৭ যাত্রী যাতায়াত করেছেন। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের দুই জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন থেকে আয় হয়েছে ৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা আর ৩ লাখ ৯৪ হাজার জন যাত্রী পরিবহন হয়েছে। আর আয়ে তৃতীয় সিলেট রুট। ওই রুট থেকে ৭৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা আয় হয়েছে। ওই রুটে ২৬ লাখ ৮৫ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেছেন, যা যাত্রীসংখ্যায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। পারাবত এক্সপ্রেস এককভাবে ১০ লাখ ২৪ হাজার যাত্রী বহন করেছে। তাতে আয় হয়েছে ২১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। আর চট্টগ্রাম-সিলেট রুট থেকে মোট আয় হয়েছে ২১ কোটি টাকা।

এদিকে এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় রেল ব্যবস্থাপক এ বি এম কামরুজ্জামান জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে সব সময়ই যাত্রী বেশি থাকে। কারণ এটি দেশের অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক কেন্দ্রের সংযোগস্থল। আর কক্সবাজার রুট চালুর পর থেকেই লাভজনক হয়ে উঠেছে। আরো ট্রেন চালানো গেলে যাত্রীসংখ্যা আরো বাড়বে। কিন্তু ইঞ্জিন সংকটের কারণে তা এখনই সম্ভব নয়।

অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পূর্বাঞ্চল) মো. সবুক্তগীন জানান, অন্যান্যবারের তুলনায় বিদায়ী অর্থবছরে যাত্রী ও আয় দুটোই বেড়েছে। ছাত্র আন্দোলনের সময় জুলাই ও আগস্ট মাসে ট্রেন কিছুটা কম চলেছে, না হলে আয় আরও বেশি হতো। আশা করা যায় চলতি অর্থবছরেও এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে