ট্রাম্পের ট্রান্সজেন্ডারবিরোধী পাসপোর্ট নীতি বাতিল রাখল মার্কিন আপিল আদালত

এফএনএস অনলাইন: | প্রকাশ: ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:৪৭ এএম
ট্রাম্পের ট্রান্সজেন্ডারবিরোধী পাসপোর্ট নীতি বাতিল রাখল মার্কিন আপিল আদালত

বস্টন, ৪ সেপ্টেম্বর (রয়টার্স) - যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আপিল আদালত ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের গৃহীত পাসপোর্ট নীতি কার্যকর করার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে। ওই নীতির আওতায় ট্রান্সজেন্ডার ও নন-বাইনারি নাগরিকদের তাদের লিঙ্গ পরিচয় অনুযায়ী পাসপোর্ট দেওয়ার অনুমতি অস্বীকার করা হয়েছিল।

বার্তা সংস্থা রয়াটার্স শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে।

বস্টনভিত্তিক প্রথম মার্কিন সার্কিট কোর্ট অব আপিলসের তিন বিচারকের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার জানায়, ট্রাম্প প্রশাসনের নির্দেশে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর যে নীতি প্রণয়ন করে তা কার্যকর করার ওপর ট্রায়াল কোর্ট যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল, সেটি বহাল থাকবে।

আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (অঈখট)-এর আইনজীবী লি নউলিন-সোল বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসনের বৈষম্যমূলক ও ভিত্তিহীন নীতি বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা আদালত প্রত্যাখ্যান করেছে, এজন্য আমরা কৃতজ্ঞ।”

হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য জানায়নি।

ট্রাম্প এ বছরের জানুয়ারিতে ক্ষমতায় ফিরে একটি নির্বাহী আদেশে নির্দেশ দেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার শুধু দুটি ‘জৈবিক লিঙ্গ’-পুরুষ ও নারী-স্বীকৃতি দেবে। ওই আদেশে পররাষ্ট্র দফতরকে বাধ্য করা হয় জন্মের সময় নির্ধারিত লিঙ্গ অনুযায়ী পাসপোর্ট ইস্যু করতে।

কিন্তু এর আগে দীর্ঘ তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে মানুষ নিজেদের লিঙ্গ পরিচয় অনুযায়ী পাসপোর্ট সংশোধন করতে পারতেন। ২০২২ সালে ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন আবেদনকারীদের ‘ঢ’ নিরপেক্ষ লিঙ্গ চিহ্ন বেছে নেওয়ার সুযোগ দেয়।

এ বিষয়ে মামলা করলে জেলা আদালতের বিচারক জুলিয়া কোবিক জানান, ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি ছিল ‘অযৌক্তিক পক্ষপাতের ফল’, যা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর সমানাধিকারের নিশ্চয়তা লঙ্ঘন করে। প্রথমে ছয়জন মামলাকারীর জন্য সীমিত আদেশ জারি করলেও পরে সেটি সারাদেশে কার্যকর করা হয়।

আপিল আদালতের রায়ে বলা হয়, প্রশাসন আদালতের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পর্যাপ্ত যুক্তি দিতে ব্যর্থ হয়েছে এবং এটি স্পষ্টতই ‘ট্রান্সজেন্ডার আমেরিকানদের প্রতি অসাংবিধানিক বৈষম্যের প্রতিফলন’।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে