খাগড়াছড়ির বিভিন্ন উপজেলায় ৫ মাস ধরে বন্ধ রবি নেটওয়াক

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মানিকছড়ি, গুইমারা ও লক্ষ্ণীছড়িসহ ৯টি উপজেলার একশত পঞ্চাশের মতো রবিসহ বিভিন্ন কোম্পানির টাওয়ার রয়েছে, টাওয়ারে কর্মীরা না আসায় গত প্রায় ৫মাস ধরে নেটওয়ার্ক বন্ধ রয়েছে। এমতাবস্থায় ডিজিটালের এই যুগেও নেটওয়ার্ক সমস্যা ভুগছে পাহাড়ের কয়েক লাখ মোবাইল ব্যবহারকারী।

সূত্র জানায়, গত ১৯ এপ্রিল মানিকছড়ির ময়ুরখীল থেকে অপহরণের শিকার ২ টেলিকম কর্মী মো. ইসমাইল মিয়া ও আব্রে মারমা এর পর গত ৫ জুন ফটিকছড়ির লেলাং ইউনিয়নের কর্ণফুলী বাজার এলাকার টাওয়ার থেকে অপহৃত হয় আরো ২ টেলিকম কর্মী মো. সুমন ইসলাম ও আব্দুর রহিম সহ মোট ৪জন। অপহৃতদের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা সবার কাছেই এখন অজানা। 

উক্ত সহকর্মীকে দ্রুত তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রাইভেট টেলিকমিনিউকেশন কর্মচারী ইউনিয়ন। সম্প্রতি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান। 

সংবাদ সম্মেলনে টেলিকম ইউনিয়নের সভাপতি মো. মাকসুদুর রহমান রাকিব বলেন, রবি আজিয়াটা, ইডটকো এবং সার্বস কমিউনিকেশন লিমিটেড বারবার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে সময়ক্ষেপণ করছে। অপহরণ বিষয়ে থানা ও প্রশাসনকে জানানো হলেও তারা কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দেশের মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবায় নিয়োজিত সহস্রাধিক টেলিকম কর্মী। এসময় এ সংগঠনটির পক্ষ থেকে ৫ দফা দাবি তুলে ধরা হয়-অপহৃত চারজন টেলিকম কর্মীকে অবিলম্বে জীবিত ও সুস্থ অবস্থায় উদ্ধারের জন্য রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ, অপহরণকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা, পার্বত্য এলাকায় কর্মরত টেলিকম শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, টাওয়ার পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতা ও নজরদারি বৃদ্ধি করা ও প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্রুত ও আন্তরিক পদক্ষেপ নিশ্চিত করা। 

এসব দাবি জানানোর পরও অপহৃতদের উদ্ধারে পুলিশ ও প্রশাসন কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেয়ার অভিযোগ ওঠেছে। গ্রাহকদের অভিযোগ একদিকে সন্ত্রাসী কর্তৃক লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয়া, টাওয়ারকে ঘিরে নানা নাশকতা ও অপহরণ ঘটনা সুরাহা না হওয়া এবং সর্বোপরী প্রশাসনের কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ক্ষোভ বাড়ছে প্রতিনিয়ত। 

এ অঞ্চালের মোবাইল ব্যবহারকারীদের দাবি বন্ধ রবি নেটওয়ার্ক দ্রুত চালু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে এমনটাই আশা করেন সাধারণ গ্রাহক। বন্ধ রবি নেটওয়ার্ক চালু না হলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে গ্রাহকরা। বিশেষ করে চাকুরীজিবী ও ব্যাংক লেন-দেনের গ্রাহকরা পড়েছে চরম বিপাকে। রবি সিম ব্যবহারের কারণে ইএফটি কিংবা যাবতীয় ডিজিটালাইস কার্যক্রম যুক্ত হওয়ায় এই সিম ব্যবহারকারী গ্রাহরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। রবি নেটওয়ার্ক চালু করতে এই পরিস্থিতির একটি সুষ্ঠু সমাধান দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে হাজার হাজার রবি সেবা গ্রহণকারি গ্রাহকরা।