জামালপুরে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও নুরুল ইসলাম মাইজভান্ডারী পীরদরবার শরীফের উদ্যোগে জশনে জুলুস (আনন্দ র্যালি) ও শুভযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন কোটামনি সাতপুরা গ্রামের খাজায়েনে রহমত মোজাদ্দেদিয়া বাইতুত তরিকত দরবার শরীফের পীর খাজা রেজাউল হকের নেতৃত্বে শত শত ভক্ত বৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। এ সময় জামালপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত নুরুল ইসলাম মাইজভান্ডারী পীরদরবার শরীফের ভক্ত বৃন্দসহ হাজার-হাজার রাসুল প্রেমিক জনতা শুভযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। ৬ সেপ্টেম্বর (বুধবার) সকালে জামালপুর শহরের পিটিআই মোড় থেকে বিশাল বর্ণাঢ্য শুভযাত্রা শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ফৌজদারী মোড় হযরত শাহজামাল আউলিয়া (র;)মাজার প্রাঙ্গণে গিয়ে মোনাজাত করে শুভযাত্রা শেষ হয়। জানা যায় এবার ঈদে মিলাদুন্নবীর (সা.) ১৫০০ বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে রাসূল ভক্ত মানুষের মাঝে ছিল ব্যাপক উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনা। শোভাযাত্রার অগ্রভাগে বড় অক্ষরে লেখা ‘ইয়া নবী সালামু আলাইকা’, ‘ইয়া রাসুল সালামু আলাইকা’। অংশগ্রহণকারীদের হাতে ছিল কালেমা খচিত পতাকা, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন। তারা বিশাল জাতীয় পতাকা বহন করে শহরের রাস্তাঘাট মুখরিত করে তোলেন। চারদিকে ধ্বনিত হতে থাকে নারায়ে তাকবির-নারায়ে রিসালাত স্লোগান। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারী খাজা রেজাউল হক বলেছেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সমগ্র মানবজাতির কল্যাণে আল্লাহর পক্ষ থেকে তার আদর্শ অনুসরণ করে শান্তিপূর্ণ, ন্যায়ভিত্তিক ও কল্যাণকর সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা একান্ত প্রয়োজন। রাসূলকে অনুসরণ করাই একমাত্র সুপথ। ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে এই দিনে (১২ রবিউল আউয়াল) আরবের মক্কা নগরীর সভ্রান্ত কুরাইশ বংশে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.)। ২৫ বছর বয়সে মহানবী বিবি খাদিজার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। মাত্র ৪০ বছর বয়সে তিনি নবুয়ত লাভ করেন।