পাবনার সুজানগরে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় একটি মাদকদ্রব্যের চালান ঢ়ুকেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে সুজানগর থানা পুলিশ ওই মাদকদ্রব্যের চালানের কোন ক্লু খুঁজে পাইনি। জানা যায়, গত বুধবার দিনগত রাতে অজ্ঞাত এক সিএনজি চালক তার সিএনজিতে করে চিনাখড়া সড়ক হয়ে ৩০/৩৫ কেজি গাঁজা এবং দুই লক্ষাধিক পিস ইয়াবার একটি বিশাল চালান নিয়ে উপজেলার তাঁতীবন্দ ইউনিয়নের হুদারপাড়া নামক গ্রামে যাচ্ছিল। সিএনজিটি তাঁতীবন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় এসে পৌঁছালে স্থানীয় বাসিন্দা সালাম, সবুজ ও হাসান সন্দেহজনকভাবে সিএনজির গতিরোধ করে। একপর্যায়ে তারা সিএনজি তল্লাশি করে ৩০/৩৫ কেজি গাঁজা এবং দুই লক্ষাধিক পিস ইয়াবার একটি বিশাল চালান আটক করে। একপর্যায়ে তারা ওই মাদকদ্রব্য তাদের হেফাজতে নিয়ে সিএনজি চালককে ভাগিয়ে দেয়। সূত্রমতে ওই মাদকদ্রব্য উপজেলার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী হুদারপাড়া গ্রামের আব্দুস শুকুরের বাড়িতে যাচ্ছিল। কিন্তু সিএনজি চালক শুকুরের বাড়িতে পৌঁছানোর কিছুদূর আগে উক্ত সালাম, সবুজ ও হাসানের হাতে ধরা খায়। তবে সালাম, সবুজ ও হাসান বিশাল ওই মাদকদ্রব্যের চালানের ব্যাপারে সুজানগর থানা পুলিশকে কিছু না জানিয়ে লুকোচুরি করছে। এমনকি থানা পুলিশ বিভিন্ন সূত্র থেকে জনগণ কর্তৃক ওই মাদকদ্রব্যের চালান আটকের খবর জানতে পারলেও এর প্রকৃত ক্লু বের করতে পারেনি। এ ব্যাপারে উক্ত সবুজ বলেন মাদকদ্রব্য আটকের বিষয়ে আমরা কোন লুকোচুরি করি নাই। আমরা ওইদিন সন্দেহজনকভাবে সিএনজিটি আটক করে আনুমানিক দেড় কেজি মতো গাঁজা উদ্ধার করে তাৎক্ষণিকভাবে তা স্থানীয় দফাদার আনন্দের কাছে দেই এবং বিষয়টি থানা পুলিশকে জানাতে বলি। দফাদার আনন্দ কুমার বলেন আমি আধা কেজি মতো গাঁজা পেয়েছি এবং বিষয়টি সুজানগর থানা পুলিশকে জানিয়েছি। সুজানার থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মুজিবুর রহমান বলেন জনগণ কর্তৃক মাদকদ্রব্য আটকের খবর বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছি। কিন্তু কি পরিমাণ মাদকদ্রব্য আটক হয়েছে তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারিনি।