যবিপ্রবি ভিসি অধ্যাপক আব্দুল মজিদ

শিক্ষার্থীদের সৎ মানবিক ও জ্ঞান সম্পন্ন সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠতে হবে

এফএনএস (টিপু সুলতান; কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ) : | প্রকাশ: ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:২৬ পিএম
শিক্ষার্থীদের সৎ মানবিক ও জ্ঞান সম্পন্ন সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠতে হবে

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ শিক্ষার্থীদের সততা ও জ্ঞানের আলোয় দেশ গড়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন,তোমাদের জীবনের এই সাফল্য শুরু মাত্র। শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য কেবল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া নয়; বরং সৎ, মানবিক,দেশ প্রেমিক এবং জ্ঞানসম্পন্ন নাগরিক হয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে অবদান রাখা।তোমরা যদি সত্যিকার অর্থে জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হও,তবে একদিন বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে গৌরবের আসনে পৌঁছে দিতে পারবে।

ভিসি অধ্যাপক আব্দুল মজিদ শনিবার বিকালে বদরগঞ্জ আক্কাস লেক ভিউ রিসোর্টে ঝিনাইদাহের সাধুহাটি ইউনিয়ন থেকে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ এসএসসি ও দাখিল শিক্ষার্থীদের এক সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায়এ কথা বলেন।প্রতিটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সাকিব মোহাম্মদ আল হাসানের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আই আই ই আর এর পরিচালক প্রফেসর ডক্টর মোস্তাফিজুর রহমান,যশোর জেলা শিক্ষা অফিসার মাহফুজুল হোসেন উজ্জ্বল, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি আসিফ কাজল ও প্রফেশনাল সাইকোলজিস্ট সাব্বির আহমেদ জুয়েল, কৃতি শিক্ষার্থী মাহিনুর আলম, সায়মা খাতুন ও শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম।

ভিসি অধ্যাপক আব্দুল মজিদ আরো বলেন,আজকের এই সাফল্য তোমাদের জীবনের প্রথম ধাপ মাত্র। মনে রেখো,কেবল পরীক্ষার ফলাফলের মাধ্যমে নয়,বরং জ্ঞান, নৈতিকতা, দেশপ্রেম এবং মানবিকতায় উজ্জ্বল হয়ে ওঠাই প্রকৃত শিক্ষা। তিনি বলেন,তোমাদের দায়িত্ব হলো মায়ের মতো মাটি,দেশের মতো আপন জনের প্রতি দায়বদ্ধ থাকা। সততা, পরিশ্রম আর দায়িত্বশীলতা নিয়ে তোমরা যদি এগিয়ে যাও,তবে তোমরাই আগামী দিনের নেতা, গবেষক, বিজ্ঞানী ও নীতিনির্ধারক হয়ে জাতিকে আলোকিত করবে। তোমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত শুধু চাকরি নয় বরং জ্ঞান দিয়ে নতুন কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি, মানবতার কল্যাণ ও দেশের অগ্রগতি সাধন।অধ্যাপক ডঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সফল হতে হলে শৃঙ্খলা ও সময়কে মূল্য দিতে শিখতে হবে। ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে, আর সর্বোপরি পরিবার, শিক্ষক ও দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ থাকতে হবে। তোমরাই বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

অনুষ্ঠান শেষে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়। স্থানীয় অভিভাবক, শিক্ষক ও সুধীজনদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি এক প্রানবন্ত মিলনমেলায় পরিণত হয়।