কুমিল্লা ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে কুমিল্লা সদর উপজেলার জগন্নাথপুরের ইউনিয়নের বাজগড্ডা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা রোজিনা আক্তার বাদী হয়ে ৩জনকে আসামী করে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। স্কুল ছাত্রী বাজগড্ডা এলাকার হোসেন মিয়ার কন্যা। গত ৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার ৫ দিনেও পুলিশ ধর্ষকসহ আসামীদের গ্রেফতার করতে পারেনি। আসামীরা হলো- জগন্নাথপুর তোফায়েল মেম্বার বাড়ীর গলির সুমন ওরফে কালা মিয়ার পুত্র রাকিব (২০), সুমনের মা তাজু বেগম (৪০), আব্দু মিয়ার স্ত্রী জ্যো-্না বেগম (৩৫)।
অভিযোগ থেকে জানা যায়- কুমিল্লা সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের এলাকার বাজগড্ডা এলাকার হোসেন মিয়ার স্ত্রী রোজিনা বেগম কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ সংলগ্ন রানীল দিঘীরপাড় কসবা হাউজের একটি বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করেন। গৃহপরিচারিকার কাজ শেষ করে ৪ সেপ্টেম্বর রাত ৯টা বাড়িতে এসে মেয়েকে না পেয়ে অনেক খোঁজাখোঁজি করেন। পরে রোজিনা তার শাশুড়ির ঘরে মেয়েকে দেখতে পান এবং তার শরীরে রক্ত দেখতে পান। পরে মেয়ে জানায় তাকে রাকিব পিছন দিক থেকে ছাপটে ধরে রাকিবদের টিনসেড ঘরে নিয়ে গিয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণ করার কারণে তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। রক্ত বন্ধ করার জন্য প্রথম স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরবর্তীতে রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় পরদিন ৫ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৫ টার সময় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্য ডাক্তার তাকে বির্তি করান। পরে বিষয়টি রাকিবের মা তাজু বেগম ও জ্যোৎ-্না বেগমকে বিষয়টি জানালে উল্টো বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি ধমকি দিচ্ছে।
এ বিষয়ে ধর্ষিতার মা রোজিনা আক্তার বলেন- আমার কোমলমতি মেয়েকে রাকিব জোড়পুর্বক ঘরে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ করার কারণে আমার মেয়ের প্রচুর রক্তরক্ষণ হয়। বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মুহিনুল ইসলাম বলেন- আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।