দুর্নীতি, ঘুষ গ্রহণ ও বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মাহবুবুল আলমকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, সম্প্রতি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে মাহবুবুল আলমের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়। এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে—মামলার ভয় দেখিয়ে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া, তদন্ত থেকে দায়মুক্তির বিনিময়ে আইডিয়াল স্কুলের প্রিন্সিপাল ও প্রশাসনিক কর্মকর্তার কাছ থেকে কোটি টাকা গ্রহণ, এসেনশিয়াল ড্রাগসের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছ থেকে ১০ কোটি টাকা নেওয়া এবং নিজ নামে, স্ত্রী ও মায়ের নামে বিপুল পরিমাণ জমি ও সম্পদ অর্জন।
অভিযোগ অনুযায়ী, শুধু ঢাকার গুলশান, বসুন্ধরা, জোয়ার সাহারা, ডেমরা ও জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মাহবুবুল আলমের প্রায় ১৫০ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে।
গত ২৭ আগস্ট অনুষ্ঠিত দুদকের ২০/২০২৫ নম্বর কমিশন সভায় অভিযোগের গুরুত্ব এবং রাষ্ট্রীয় স্বার্থ বিবেচনা করে তাকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বরখাস্তকালীন সময়ে তিনি দুদক (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা, ২০০৮-এর ৪৩(১) বিধি অনুযায়ী খোরাকি ভাতা পাবেন।
এর আগে চলতি বছরের ১৭ জুলাই উপপরিচালক কমলেশ মন্ডল এবং ৬ আগস্ট উপপরিচালক মো. আহসানুল কবীর পলাশকে একই ধরনের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করে কমিশন।