২ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দূর্নীতির তদন্ত সম্পন্ন

এফএনএস (মহানন্দ অধিকারী মিন্টু; পাইকগাছা, খুলনা) : | প্রকাশ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৫:৪৩ পিএম
২ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দূর্নীতির তদন্ত সম্পন্ন

খুলনার পাইকগাছায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১০ গ্রেড পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রায় সাত লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলা প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি রবীন্দ্র নাথ রায় ও সাধারন সম্পাদক মো. নূরুজ্জানের বিরুদ্ধে খুলনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর গত ৪ জুলাই উপজেলার মধুখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো, বাবুল আক্তার খান দূর্নীতির অভিযোগ করেন। অভিযোগে উল্লেখ মহামান্য হাইকোর্টের রিট পিটিশন নং ৩২১৪/২০১৮ এর রায়ের প্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নে কাজ চলমান। এ অবস্থায় বিগত ২৮জুন শহীদ এমএ গফুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিটিং করে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দোসর আলমতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্র নাথ রায় ও কপিলমুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নূরুজ্জামান যৌথভাবে মহামান্য হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে বাস্তবায়নাধীন প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড পাইয়ে দেওয়ার নাম করে গত ০৯.০৩.২০১৪ তারিখ থেকে অবসরে যাওয়া ও কর্মরত ১০৭ জন প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে ৬ হাজার ২শত করে টাকা সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে উত্তোলন করেন। উপজেলায় প্রাথমি বিদ্যালয় ১৬৭টি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এর পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) এর স্বাক্ষরিত পত্রকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে তারা দুই জন এ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। আর এই টাকা উত্তোলনে ও যোগাযোগের জন্য তারা ব্যবহার করছেন অফিসিয়াল ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ এবং নিযুক্ত করেছেন ৭৭নং পূর্ব কাশিমনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক গাজী আব্দুল আলীমকে। সে নিজের স্কুলের সকল কার্যক্রম বাদ দিয়ে সার্বক্ষণিক অর্থ আদায় ও মো. নূরুজ্জামান ও রবীন্দ্র নাথ রায়ের অবৈধ কার্যসাধন করে চলেছেন। ঐ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ ২০১৪ সালে শিক্ষক সমাবেশের নাম করে শিক্ষক প্রতি ১০০ টাকা হারে আত্নসাৎ করেন। কোন শিক্ষা অফিসার তাদের কথামত না চললে নামে বা বেনামে অভিযোগ করেন। ২০১৭ সালে মো. নূরুজ্জামানের নামে ১৩ দফা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে শাস্তিমূলক কালাবগী বদলী করা হয়। ২০২৪ সালে নব সরকারি প্রধান শিক্ষকদের টাইমস্কেল পাইয়ে দেওয়ার নামে ১০০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করেন। এমনকি বর্তমান সহকারী খুলনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আনিচ স্যারের নামে নারী কেলেঙ্কারি দিয়ে বদলী করেন। অভিযোগের অনুলিপি পাঠান হয় ১. সচিব প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সেগুনবাগিচা, ঢাকা। ২. মহাপরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, মিরপুর, ঢাকা। ৩. উপ পরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা, খুলনা বিভাগ, খুলনা। এর প্রেক্ষিতে গত ৪ সেপ্টেম্বর সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. জামাল হোসন, খুলনা সদর থানার শিক্ষা অফিসার মো. শাহাজান খান ও ডুমুরিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. হাবিবুর রহমান পাইকগাছা উপজেলা শিক্ষা অফিসে তদন্ত সম্পূর্ণ করেন। প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্র নাথ রায় বলেন, অর্থ বাণিজ্যের সাথে আমি জড়িত নয়, তবে কেউ থাকে সেটা তার বিষয়। প্রধান শিক্ষ নূরুজ্জামান বলেন, অভিযোগের বিষয় ভিত্তিহীন, ষড়যন্ত্র। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. জামাল হোসন তদন্ত বিষয় স্বীকার করে, কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে