রাজশাহীর বাঘায় আকলিমা বেগম (২৫) নামের এক নারী এক সাথে তিন সন্তানের জন্ম দেন। জন্ম গ্রহণের তিন ঘন্টা পর নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অস্ত্রোপচার ছাড়াই স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে তিনটি শিশু এক সাথে ভূমিষ্ঠ হয়। আকলিমা বেগম উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের জোতকাদিরপুর গ্রামের গার্মেন্স কর্মী সোহেল রানার স্ত্রী। প্রসব ব্যথা নিয়ে আকলিমা বেগম সকাল ১০টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি হন। তার কিছুক্ষণ পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এক এক করে সাধারণভাবে (নরমালি) তিনটি পুত্র সন্তান জন্ম দেন। কিন্তু জন্ম গ্রহণ করা তিনটি শিশুর ওজনে তুলনামূলকভাবে কম এবং পরিনত বয়স না হওয়ায় শিশুর অবস্থা বেগতিক দেখে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেফার্ড করা হয়। হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু তিনটি পর পর মৃত্যু হয়।
আকলিমা বেগমের শিশু জন্ম গ্রহণের সময় সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডা. কান্তা খাতুন, পিপাশা খাতুন, ফেরদৌসী আক্তার এবং নার্সি ছিলেন শারমিন আক্তার ও ফাতেমা খাতুন।
এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইএ ডা. আসাদুজ্জামান বলেন, জন্ম গ্রহণ করা তিনটি শিশু ওজনে তুলনামূলকভাবে কম এবং পরিনত বয়স না হওয়ায় কারনে এমন ঘটনা ঘটেছে। সার্বিবভাবে শিশু তিনটিকে বাঁচানোর জন্য সর্বচ্চ চেষ্টা করা হয়।
আকলিমা বেগমের বড় ভাই জহুরুল ইসলাম বলেন, আমার বোনের সন্তান পেটে আসার দুই মাস বয়সে একবার এক্সে করা হয়েছিল। পরে আর এক্সে করা হয়নি। প্রসব ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর এক এক করে তিনটি সন্তান জন্ম দেয়। কিন্তু তিনটি সন্তান বাঁচানো সম্ভব হয়নি। বোন আকলিমা মডার্ণ লেবার কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।