দীর্ঘ বিরতির পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। ভোট শুরুর পর থেকেই প্রতিটি কেন্দ্রে লম্বা লাইন, উৎসবমুখর পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
নির্বাচনকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের ভেতরে ব্যাপক উৎসাহ–উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কেউ ভোট দিয়ে কেন্দ্র ছাড়ছেন, আবার কেউ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত এই ভোটে সকাল থেকেই বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর উপস্থিতি নির্বাচনের প্রতি তাদের আগ্রহ ও প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক মন্তব্যে লিখেছেন, ডাকসু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নির্বাচনী ধারায় ফিরছে। তার ভাষায়, “ডাকসুর মধ্য দিয়ে নির্বাচনের ট্রেনে উঠে গেল বাংলাদেশ, এরপর সামনে আসবে জাতীয় নির্বাচনের ট্রেন।”
ফারুকী শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণকে ইতিবাচক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন এবং সবাইকে নির্বাচনী শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তবে সমালোচনা করতেও ভোলেননি তিনি। তার মতে, “সময়মতো কাজ সম্পন্ন না করাই জাতির বড় দুর্বলতা। যে ভোট দিনের আলোতে আয়োজন করা সম্ভব, সেটি রাতের আঁধারে সেরে ফেলার প্রবণতা বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।”
ভোটের দিনে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। একাধিক স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলার পাশাপাশি প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।