পারিবারিক কোলহের জেরে ইটভাটা মালিক কে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা

এফএনএস (শাহ্ জামাল; ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া) : | প্রকাশ: ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০২:২৬ পিএম
পারিবারিক কোলহের জেরে ইটভাটা মালিক কে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা

পারিবারিক কোলহের জের ধরে কাওছার হোসেন নামের এক ইটভাটা মালিককে এলোপাতাড়ী ভাবে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে একদল সন্ত্রাসী। পরে শ্রমিকরা তাকে উদ্ধার করে মুমুর্ষ অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এ ঘটনায় কুষ্টিয়ার বিজ্ঞ আদালতে গতকাল সোমবার মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। সে মিরপুর উপজেলার ধুবইল ইউনিয়নের কাজীপুর গ্রামের মৃত রজব আলীর পুত্র। স্থানীয়দের ধারনা, কাওছার হোসেন’র সম্পত্তির দখল নিতেই, তারই নিকটজনেরা বারবার তাকে হত্যার চেষ্টা করছে।   

সূত্র জানিয়েছে, র্দীঘ দিন ধরেই পারিবারিক এবং জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ওই এলাকারই জিসান, আপন ভাই ইসরাইল ও আরমান, ভাড়াটে লালন, বিপুল ও স্বপনের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতি লক্ষিধরদিয়াড় মোড়ে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা চেষ্টা করে প্রতিপক্ষ দৃবৃর্ত্তরা। কিছু দিন পূর্বে পুকুরের ৮ লক্ষ টাকার মাছ মেরেও আর্থিক ভাবে পুঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করে ওই দৃবৃর্ত্তরা। পূর্ব সূত্রতার জের’র ধারাবাহিকতায় গত বুধবার সকালে কাওছার হোসেন’র কাজীপুরস্থ নিজস্ব ইটভাটায়  শ্রমিকদের কাজে লাগিয়ে ভাটায় বসেছিলেন। এ সময় কাওছার কে হত্যার উদ্দ্যেশে একদল সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথার উপর আঘাত করে হত্যার চেষ্টা চালায়। এসময় একটু সরে গেলে কোপটি পড়ে কাঁধের উপর। রক্তাক্ত জখম অবস্থায় এলোপাতাড়ী ১৩/১৪টি কোপায় সন্ত্রাসীরা। এসময় মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে পালিয়ে আসার চেষ্টা করে সন্ত্রাসীরা। এসময় কাওছার হোসেন কে কোপাতে দেখে ইটভাটার শ্রমিকরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে। এবং ধাওয়া করে এক সন্ত্রাসী কে ধরে ফেলে বেধড়ক পেটায়। পরে শ্রমিকরা কাওছার হোসেন কে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এ বিষয়ে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়েই গত সোমবার কুষ্টিয়ার বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন তিনি। 

মৃত্যুর হাত থেকে ফিরে আসা কাওছার হোসেন জানিয়েছেন, আমার সম্পত্তি এবং অর্থ ছিনিয়ে নেওয়ার জন্যই আমার আপন ভাইয়েরা এখন আমার প্রতিপক্ষ। আমার ২টা মেয়ে। কোন ছেলে সন্তান নেই। আমার ভাই এবং দৃর্বৃত্তদের লক্ষ্যে আমাকে হত্যা করতে পারলেই আমার সমুদয় সম্পত্তি এবং অর্থ তাদের হয়ে যাবে। এজন্যই বারবার তারা আমাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছে। হত্যার উদ্দ্যেশে গুলি করেছে। গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে মাছ মেরে আর্থিক ভাবে পুঙ্গু করেছে। তিনি বলেন, সামনে ইটভাটা মৌসুম। ইটভাটা চালু করার প্রস্তুতি নিতেই ভাটায় শ্রমিক লাগিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম। এমন সময় আমার প্রতিপক্ষ এবং সন্ত্রাসী মৃত আশরাফুল ইসলামের ছেলে জিসান, আপন ভাই ইসরাইল ও আরমান ভাড়াটেয়া সন্ত্রাসী লালন, তার সহযোগী বিপুল ও স্বপন কে সাথে নিয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাকে হত্যার উদ্দ্যেশে আমার ইটভাটাতেই হামলা চালায়। ধারালো এবং ভারী অস্ত্রেও ১৩/১৪টি এলোপাতাড়ী আঘাত আমার শরীরে। তারা আমাকে মৃত ভেবে ফেলে বীরদর্পে স্থান ত্যাগ করে। তিনি দ্রুত আইনে পরিকল্পিত এই হত্যা চেষ্টার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করেন।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে