রায়গঞ্জে ভূমি অধিগ্রহন না করায় ৪৩ কোটি টাকার ব্রীজ নির্মান ব্যহত

এফএনএস (টি এম কামরুজ্জামান লাবু; রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ) : | প্রকাশ: ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৩:৫৯ পিএম
রায়গঞ্জে ভূমি অধিগ্রহন না করায় ৪৩ কোটি টাকার ব্রীজ নির্মান ব্যহত

সিরাজগঞ্জ রায়গঞ্জে বসত বাড়ী ও ভূমি অধিগ্রহন না করায় ফুলজোড় নদীর উপর ৪৩,৩০,৮৯,৫৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রীজ নির্মান কাজ ব্যহত হচ্ছে। সরেজমিনে ও তথ্য সূত্রে জানা যায়, নওদাশালুয়া হতে সাহেবগঞ্জ বাজার পর্যন্ত প্রায় ৭১০০ মিটার চেইনেজ ফুলজোড় নদীর উপর ৩০০.৪০ মিটার নির্মান কাজ চলমান। স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর( এলজিইডি) ২০২৪ সালে জুন মাসের ১৫ তারিখে  মেসার্স মোস্তফা কামাল, নিয়াজ পার্ক কাউতালি, ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে ব্রিজ নির্মানের কার্যাদেশ দেন। অধিগ্রহণ জটিলতার কারণে ২০২৪ থেকে এ পর্যন্ত ৩ টি পিলার স্থাপনের কাজও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পিলারের ৩৫০ মেঃ টন ধারণ ক্ষমতা পরীক্ষার জন্য বালু ভর্তি বস্তা দিয়ে লোড করার কাজ চলমান। নদীর পশ্চিম পাশে ব্রিজ সম্মুখে একটি বসতবাড়ি থাকায় পিলারের নির্মান কাজ প্রায় ৬ মাস যাবত বন্ধ হয়ে আছে। ১ নং খাস খতিয়ান ভুক্ত ঐ বসতবাড়ির মালিক আমির হোসেন তার তিন পুত্র নিয়ে ১৯৯১ সাল থেকে বসবাস করছেন। ইতিমধ্যেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি প্রশাসনিক অনুমোদন ও নির্দেশক্রমে বাড়িটি উচ্ছেদের জন্য অফিসিয়াল পদক্ষেপের জন্য এলজিইডি’র উপসচিব বরাবর একটি আবেদন করেন। যার স্মারক নং-৪৬,০২,০০০০,৬৫৫,০৭,২০৬,২৩-২৩৮৬। ২১/১১/২৪ ইং তারিখ। স্থানীয় সরকার, পল্লীউন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয় সরকার বিভাগ, উন্নয়ন-২ শাখার উপসচিব মোহাম্মদ শামীম ব্যাপারী ২১/০৭/২০২৫ ইং তারিখে ৪৬,০০,০০০০,০৬৮,০৬,০৫১,২৪-৬৪০ নং স্মারকে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজগঞ্জ বরাবর একটি আদেশ প্রদান পূর্বক পত্র প্রেরণ করেছেন। নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর চর ফরিদপুর মৌজার ১৬২ নং জেল নাম্বারে জমির পরিমান ০.৯২১২ একর আর এস,দাগ নং-২২৮,২২৯,২৩২,২৩৩,২৩৪,২৩৫,২৩৭,২৩৮,২৩৯,২৪০,২৪১,১৫৬,১৫৭,১৭ ও ১৯। দাদপুর মৌজায় জে.এল.নং-১৬৩, আর.এস দাগ নং-১৭৭৮,১৭৮১,১৭৮২,১৭৮০,১৭৯৫ ও ১৭৯৬ ভূমির পরিমান ০.৭৫৬৮ একর। সর্বমোট ১.৬৭৮ একর ভূমি অধিগ্রহনের জন্য একটি পত্র প্রেরণ করেন। অদ্যাবধি ভূমি সহ ১৯ নং দাগে অবস্থিত বাড়িটি অধিগ্রহণ না করায় ব্রিজের নির্মান কাজ বিলম্বিত হচ্ছে। চর ফরিদপুর আর্দশ গ্রামের ১ নং খাস খতিয়ান ভুক্ত ১৯ নং দাগে ৯ শতক জায়গায় নিয়ে বসবাসকারী আমির হোসেন বলেন, জায়গার দাম সহ বাড়ির যতার্থ ক্ষতিপূরণ দিলে উঠে যাব। পত্র প্রাপ্তির পর সিরাজগঞ্জের এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো: রেজাউর রহমান, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর ভূমি অধিগ্রহন কার্যক্রমের জন্য গত ০৭/০৮/২০২৫ ইং তারিখে একটি পত্র প্রেরণ করেছেন। এ বিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল আলম মূঠোফোনে বলেন ভূমি অধিগ্রহন উচ্ছেদের বিষয়ে পত্র পেয়েছি, ভূমি সংক্রান্ত উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা পূর্বক দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে