সারিয়াকান্দিতে পাট চাষিদের সুদিন ফিরছে

এফএনএস (ইমরান হোসাইন রুবেল; সারিয়াকান্দি, বগুড়া) : | প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৩:৪৮ পিএম
সারিয়াকান্দিতে পাট চাষিদের সুদিন ফিরছে

সোনালী আঁশ খ্যাত বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে এবার পাটের চাষ ভালো হয়েছে। চাষিরা দামও পাচ্ছেন ন্যায্য।  ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় চাষীদের রমরমা দিনে যেমন লাভবান হচ্ছেন। তেমনি আগামী দিনে এই ফসলের চাষ আরো বাড়বে বলে আশা করছেন কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা।

জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার বগুড়ার বারো উপজেলায় পাট চাষ হয়েছে ৭ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য সারিয়াকান্দি উপজেলায় পাট চাষ হয়েছে ৩ হাজার ৫০৫ হেক্টর জমিতে। এই উপজেলায় যদিও লক্ষ্যমাত্র নির্ধারনণ করা হয়েছিলো ৩ হাজার ৫০৬ হেক্টর। ফাল্গুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে বপণ করা পাট শ্রাবন মাসে কর্তন করা হয় ফসলের এই মৌসুমে  প্রতি বিঘায় ১০/১১ মন করে এবার ফলন পাওয়া যাচ্ছে। প্রতি বিঘায় পাটখরি বিক্রি করে উপরন্ত  ৪/৫ হাজার টাকা পাচ্ছেন। লাভ  মিলছে দিগুনেও বেশী টাকা। বন্যা না আসা, পোকার আক্রমন না থাকায় পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে এবার। উপজেলার কাজলা ইউনিয়নের কুড়িপাড়া চরের চাষি আয়নাল হক প্রামানিক বলেন, এবার ৮ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলাম। এরই মধ্য পুরো জমিতেই পাট কর্তন শেষ হয়েছে। এবার বাজারে ভালো দাম, এতে পাট ফসলে আমাদের সুদিন ফিরেছে।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে এরই মধ্যে ৩ হাজার৫৩ হেক্টর জমির পাট কর্তন করা হয়েছে। বাজারে ভালোমানের পাট ৩৫ শত টাকা থেকে শুরু করে ৩৮ শত টাকা প্রতি মন দরে বিকিকিনি হচ্ছে। পাটের ফলন প্রতি হেক্টরে ২.৭ মেঃ টন পাট উৎপাদন হয়েছে। মোট জমি থেকে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার মেট্রিক টন পাট উৎপাদন হবে বলে আমরা আশা করছি। উল্লেখিত পরিমাণ জমির পাট বিক্রি করে এবার চাষিদের ঘরে উঠবে ৭৬ কোটি ৭ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। চাষের সাথে জড়িত রয়েছেন প্রায় ২৫ হাজার কৃষক-কৃষানি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আলী জিন্নাহ বলেন,আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চরে-বীল অঞ্চলে পাটের ফলন ভালো হয়েছে। দামও পাচ্ছেন ন্যায্য। সোনালী আঁশের সুদিন ফিরেছে চাষিদের। এতে লাভবান হবেন চাষিরা।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে