সদস্য ভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা নারীপক্ষের উদ্যোগে এবং “অধিকার এখানে, এখানেই (জঐজঘ)”প্রকল্পের আওতায় পটুয়াখালীতে দিনব্যাপী “তরুণ প্রজন্মের সফলতার গল্প”শীর্ষক তরুণ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পটুয়াখালী সদর, দশমিনা ও কলাপাড়া উপজেলার তরুণ-তরুণীরা এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। নারীপক্ষের কর্মএলাকার ৮টি জেলার মধ্যে সর্বপ্রথম পটুয়াখালী জেলায় এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আজ সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে দিনব্যাপী এই সম্মেলনের শুরুতে নারীপক্ষের সদস্য জাহানারা খাতুন স্বাগত বক্তব্যে উপস্থিত সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে নারীপক্ষের কার্যক্রম ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন তারুণ্যের কণ্ঠস্বর প্ল্যাটফর্মের সদস্য তাসনীম বিনতে মনির এবং রুবাইয়াত হক।
প্রথম পর্বে প্রদর্শিত হয় একটি তথ্যচিত্র, যেখানে প্রকল্পেরআজ সকালে আওতাভুক্ত ৮টি জেলার তারুণ্যের কণ্ঠস্বর প্ল্যাটফর্মের কার্যক্রম, অর্জন, চ্যালেঞ্জ এবং সফলতার গল্প তুলে ধরা হয়। তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর পর স্থানীয় সহযোগী সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক আফরোজা আকবর নারীপক্ষের সঙ্গে তাদের কাজের অভিজ্ঞতা উপস্থাপন করেন। একইসঙ্গে পটুয়াখালীর কিশোর-কিশোরীরা জেলার তরুণদের বিভিন্ন অর্জন তুলে ধরে উপস্থাপনা প্রদান করে।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালীর ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক জুয়েল রানা।
এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক শহিদুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুর রশীদ খান, প্রকল্প পরিচালক সামিয়া আফরীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন চান্দুখালী জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেলায়েত হোসেন, পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক সাথী সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম আরিফ, এবং তারুণ্যের কণ্ঠস্বরের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জহিরুল ইসলামসহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
বক্তারা বলেন, বয়সন্ধিকালীন সময়ে তরুণদের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সঠিক তথ্য ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। পরিবার, বিদ্যালয় ও সমাজ একযোগে কাজ না করলে তরুণরা সঠিক দিকনির্দেশনা পাবে না। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করে কিশোর-কিশোরীদের জন্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরির ওপরও বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়।
নারীপক্ষের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হয়, “অধিকার এখানে, এখানেই (জঐজঘ)”প্রকল্পের মাধ্যমে তরুণদের নেতৃত্ব বিকাশ, অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে তারুণ্যের কণ্ঠস্বর একটি কার্যকর প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে।
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী কিশোর-কিশোরীরা তাদের পরিবার, বিদ্যালয় ও সমাজে সচেতনতা সৃষ্টি, বয়সন্ধিকালীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ, অধিকার সুরক্ষা এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সক্রিয়ভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
দিনব্যাপী সম্মেলনের সমাপনী বক্তব্যে তারুণ্যের কণ্ঠস্বরের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জহিরুল ইসলাম উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করেন।