কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ভরা আমন মৌসুমে সারের সরবরাহ কম হওয়ায় চরামূল্যে সার বিক্রয় করছে ব্যবসায়ীরা । ফলে বিপাকে পড়েছে এ এলাকার রোপা আমন চাষি কৃষক। সার সরবরাহ কম হওয়ায় সরকারি মূল্যের চেয়ে ব্যবসায়ীরা বেশি দামে বিক্রি করছে। এতে করে চড়া দামে সার কিনে প্রয়োগ করতে বাধ্য হচ্ছে কৃষকরা। স্থানীয় ডিলারদের সূত্রে জানা যায়, চাহিদামতো সার সরবরাহ না পাওয়ায় খুচরা সার বিক্রেতারা বিভিন্ন যায়গা থেকে চড়ামূল্যে সার ক্রয় করায় বেশি দামে খুচরা সার বিক্রি করছে। অনেক কৃষক চড়ামূল্যে সার কিনতে না পারায় আমন আবাদ ব্যহত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। উপজেলার জোড়গাছ বাজারে সরেজমিনে দেখা যায়, ৫০ কেজি টিএসপি প্রতি বস্তা সরকারি মূল্য ১৩শ ৫০টাকা হলেও সংকটের কারণে প্রতি বস্তা ২৭শ ৫০ টাকা, বাংলা টিএসপি পতেঙ্গা কর্পোরেশনের ৫০ কেজির প্রতিবস্তা সরকারি মূল্য ১৩৫০ টাকা হলেও সেটি ২৭শ টাকা, এমওপি সারের প্রতি বস্তা সরকারি মূল্য ১হাজার টাকা হলেও বিক্রয় করা হচ্ছে ১১শ ৫০টাকা দরে। তবে ইউরিয়া সার নির্ধারিত মূল্যেই বিক্রি হচেছ। থানাহাট বাজারের খুচরা সার বিক্রেতা শাহিন বলেন, ডিলারদের কাছে পর্যাপ্ত সার সরবরাহ না থাকায় বিভিন্ন জায়গা থেকে বেশি দামে সার ক্রয় করে নিয়ে আসতে খরচ বেশি হওয়ায় চরা দামে সার বিক্রয় করতে হচ্ছে। সার ডিলার আজাদুল ইসলাম জানান, চিলমারী উপজেলায় বিএসটিআই ও বিএডিসি’র ১৭জন ডিলার রয়েছে। সরকারিভাবে ডিলার প্রতি মাত্র ৩৮ বস্তা বরাদ্দের চিঠি পাওয়া গেলেও এখনো সার পাওয়া যায়নি। যা চাহিদার তুলনায় অতি নগন্য। চাহিদা ও সময়মত সার না পাওয়ায় বাজারে সার সংকট তৈরি হয়েছে। ফলে কৃষকদের চড়ামূল্যে সার ক্রয় করতে হচ্ছে। উপজেলা গাবেরতল এলাকার কৃষক আকরামুল হক বলেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সার কিনে রোপা আমন ক্ষেতে প্রয়োগ করতে হচ্ছে। বালাবাড়ী এলাকার কৃষক বাচ্চু মিয়া জানান, ৫ একর জমিতে রোপা আমনের চাষ করেছি। বন্যার সম্ভাবনায় চারা রোপনের সময় সার প্রয়োগ করিনি। সার প্রয়োগ জরুরী হলেও বাজারে সারের মূল্য বেশি হওয়ায় ক্ষেতে সার প্রয়োগ করতে পারছি না। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় বলেন, চিলমারীতে ৮ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে রোপ আমন চাষ করা হয়েছে। সরকারিভাবে ডিলারপ্রতি ৩৮ বস্তা সারের বরাদ্দ পাওয়া গেছে যা চাহিদার তুলনায় কম। আমরা চাহিদা পাঠিয়েছি অল্প সময়ের মধ্যে কৃষক চাহিদামত সার কিনতে পারবে।