কচুয়ায় শেষ হলো ৪৮ ঘন্টার হরতাল সহ পাঁচ দিনের বিভিন্ন কর্মসূচি

এফএনএস (আয়শা সিদ্দিকা; কচুয়া, বাগেরহাট) : | প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৭:৪৯ পিএম
কচুয়ায় শেষ হলো ৪৮ ঘন্টার হরতাল সহ পাঁচ দিনের বিভিন্ন কর্মসূচি

বাগেরহাটে ৪টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ১ টি কমিয়ে ৩ টি সংসদীয় আসন করে নির্বাচনী সীমানার চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশের প্রতিবাদে এবং ৪ টি আসন পূর্নবহাল রাখার দাবিতে কচুয়ায়  শেষ হলো ৪৮ ঘন্টা ডাকা হরতালের কর্মসূচি । পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টায় শেষ হলো হরতাল কর্মসূচি। 

 বৃহস্পতিবার বাগেরহাট  জেলা সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির ডাকা পাঁচ দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলার বিভিন্ন উপজেলার মত কচুয়া উপজেলায়ও পালিত হলো ৪৮ ঘন্টা হরতাল কর্মসূচি। কচুয়ার সকল সড়ক গুলোতে বন্ধ ছিল  সকল ধরনের দূরপাল্লার ও স্থানীয় যান চলাচল। উপজেলার  বিভিন্ন  সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে, টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন দূর দূরান্তের যাত্রীরা। এদিন বাজারে ঔষধের দোকান,কিছু হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট ও কিছু পচনশীল দ্রব্যের দোকান ব্যতীত সকল দোকানপাট বন্ধ ছিল। সকাল থেকে হরতালের সমর্থনে বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সহ -সভাপতি ও বর্তমান জেলা বিএনপির সদস্য খান মনিরুল ইসলাম ও কচুয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও জেলা সর্ব দলীয় সম্মিলিত  কমিটির সদস্য সরদার জাহিদ বাঁধাল মহাসড়কে নেতা কর্মীদের নিয়ে অবস্থান নেন। উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক হাজরা আসাদুল ইসলাম পান্না তার নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে হরতাল কর্মসূচির সাথে যোগদেন। এদিকে বাধাল বাজার,কচুয়া বাজার ও সাইনবোর্ড জিরো পয়েন্ট চত্বরে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম কচুয়া উপজেলা শাখার আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম হরতালে সমর্থনে অবস্থান নেন। এছাড়াও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কচুয়া উপজেলা শাখার সভাপতি হাফেজ নুরুল ইসলামকে তার নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে হরতালের সমর্থনে মাঠে থাকতে দেখা গেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদরা মাঠে টহল দিচ্ছে।

অপরদিকে বাগেরহাট  জেলা সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির আহ্বায়ক এম এ সালাম   ১১ সেপ্টেম্বর বিকেলে সাংবাদিকদের জানান যে, নির্বাচন কমিশনার আমাদের দাবি না মানলে আমরা আগামী রোববার সকল সরকারি অফিস আদালত অবরোধ এবং সোমবার,মঙ্গলবার ও বুধবার  প্রতিদিন  ১২ ঘন্টা করে হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে