শেরপুরের ঝিনাইগাতী-ধানশাইল সড়কের সংযোগ সড়ক হযরত আলীর বাড়ি থেকে মোল্লাপাড়া কবরস্থান পর্যন্ত প্রায় অর্ধ কিলোমিটার সড়ক দীর্ঘ ১২ বছর ধরে সংস্কার না হওয়ায় জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। খানাখন্দে ভরা এ সড়ক বর্তমানে কার্যত চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। গ্রীন সোলজার পাবলিক স্কুল, হাজী অছি আমরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঝিনাইগাতী দাখিল মাদ্রাসা ও মহিলা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত এই সড়ক ব্যবহার করেন। কিন্তু সড়কটির ভাঙাচোরা অবস্থার কারণে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সাধারণ পথচারীরাও ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
উপজেলা এলজিইডি সূত্র জানায়, সড়কটির দৈর্ঘ্য ৪৬০ মিটার ও প্রস্থ ৩ মিটার। সর্বশেষ ২০১২-১৩ অর্থবছরে এলজিইডি এটি কার্পেটিং করে। এরপর দীর্ঘ ১২ বছর আর কোনো সংস্কার হয়নি। গত ২০২৩ অর্থবছরে এডিপির আওতায় মাত্র ৫০ মিটার অংশে ইটের সলিং করা হয়েছে। বর্তমানে সড়কের দুই পাশ ভেঙে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। বর্ষায় এসব গর্ত পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। গত কয়েক মাসেই একাধিক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, “সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কে কাদা জমে যায়। কৃষিপণ্য বাজারে নিতে বা জরুরি প্রয়োজনে বের হতেও সমস্যায় পড়তে হয়।”
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মানিক মিয়া জানান, “রিকশা কিংবা অন্য যানবাহনে চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আমরা অবিলম্বে সড়কটির সংস্কার চাই।”
ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. জাহিদুল হক মনির বলেন, “সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দীর্ঘদিনেও এর সংস্কার হয়নি। সামান্য কিছু সলিং করে দায়সারা কাজ করা হয়েছে। দ্রুত পূর্ণ সংস্কার দরকার।”
ঝিনাইগাতী উপজেলা এলজিইডি’র প্রকৌশলী শুভ বসাক বলেন, “বিষয়টি আমরা অবগত আছি। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”