ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মুহতারাম সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, শায়েখে চরমোনাই বলেছেন, ফ্যাসিস্ট মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই। কোন ফ্যাসিস্ট যেন মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সে জন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হবে এবং আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। জুলাই অভ্যুত্থানের মৌলিক দাবি এটা। হাজারো প্রাণের বিনিময়ে এ দেশের মানুষ ফ্যাসিস্ট থেকে মুক্তি পেয়েছে। নতুন করে অনেকের মধ্যে ফ্যাসিস্ট চরিত্র লক্ষ করা যাচ্ছে। তাদের সতর্ক করে তিনি বলেন, এ দেশের মানুষ জীবন দিতে শিখেছে, ভয়কে জয় করতে শিখেছে। এখন তাদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবেনা ইনশাআল্লাহ।
শায়েখে চরমোনাই বলেন, চব্বিশের পাঁচ আগস্টের পরে একটি দল নেমেছে হাট বাজার, বাস স্ট্যান্ড দখল করার জন্য, চাঁদাবাজির করার জন্য, এরাই দেশকে অতীতে পাঁচ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে তাই এদেশের মানুষ আগামীতে সংসদে কোনো চাঁদাবাজ আর দুর্নীতিবাজকে ক্ষমতায় আসতে দেবে না।
তিনি আরো বলেন এদেশের মানুষ বিভিন্ন দলের রাষ্ট্র পরিচালনা দেখেছে বিভিন্ন আদর্শ দেখেছে এখন সময় এসেছে রাষ্ট্র পরিচালনায় ইসলামকে নেয়ার জন্য, আগামীতে এদেশের মানুষ ইসলামকে স্বাচ্ছন্দ্যে গ্রহণ করবেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন, প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রসংস্কার, জুলাই সনদের আইনী ভিত্তি প্রদান, অপরাধী, খুনি ও স্বৈরাচারের দৃশ্যমান বিচার এবং ইনসাফভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর এর উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল পূর্বক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর ) দুপুর ২টায় খুলনার নিউমার্কেট চত্ত্বরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ মোঃ নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও নগর সেক্রেটারী মুফতী ইমরান হুসাইনের পরিচালনায় বিক্ষোভ মিছিল পূর্বক গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে মুফতী ফয়জুল করীম আরও বলেন, স্বাধীনতার পরে ৫৩ বছরের নির্বাচন জাতীর আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারেনি, জনপ্রত্যাশা পূরণ করতে পারে নাই। সেই ব্যর্থ ব্যবস্থায় আবারো নির্বাচন হলে তৈরি হওয়া জঞ্জাল দুর হবে না। এই বাস্তবতায় পিআর পদ্ধতি একটি কার্যকর সমাধান হতে পারে। তাই পিআর পদ্ধতিতেই নির্বাচন দিতে হবে।
তিনি বলেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর আবারও আগের ধারাবাহিকতায় চাঁদাবাজরা ,খুনিরা , স্টেশন দখলকারীরা, ঘাট দখলকারীরা ক্ষমতায় আসবে? তা হবে না। প্রয়োজন হলে আবারও বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য রাজপথে মানুষ নামবে।
শায়েখে চরমোনাই বলেন, ৫৩ বছর দেশে যে পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়েছে সেই নির্বাচনগুলোতে দিনের ভোট রাতে দেওয়া হয়েছে। ভোটকেন্দ্র দখল করে নিজেদের প্রার্থীর পক্ষে ব্যালট বাক্স ভরা হয়েছে।
অযোগ্য লোকগুলোকে দিয়ে সংসদ বানিয়েছে, গানের আড্ডালয় বানিয়েছে। গানের আড্ডালয় কী আমাদের সংসদ, নাকি দেশ সুন্দর করার জন্য সংসদ? সেখানে তামাশা করা হয়েছে। তাই আমরা পিআর পদ্ধিতিতে নির্বাচন চেয়েছি। পি আর পদ্ধতি ছাড়া কোন নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না।
গণসমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাগেরহাট ১ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মুজিবুর রহমান শামীম, আলহাজ্ব আবু তাহের, হাফেজ আব্দুল লতিফ, জামায়াতে ইসলামী খুলনা মহানগর সেক্রেটারী এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন হেলাল, খেলাফত মজলিস খুলনা মহানগর সভাপতি মাওঃ শরীফ সাইদুর রহমান, হাফেজ শহিদুল ইসলাম, জেলা সহ-সভাপতি শেখ হাসান ওবায়দুল করিম, মাওঃ আবু সাঈদ, আবু গালিব, শোয়াইব আহমেদ, মুফতি আরিফ বিল্লাহ, জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওঃ দ্বীন ইসলাম, এসিস্টেন্ট সেক্রেটারী মোঃ ইমরান হোসেন মিয়া, মাওঃ ইলিয়াস হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওঃ সাইফুল ইসলাম ভূইয়া, মোঃ তরিকুল ইসলাম কাবির, মেহেদী হাসান সৈকত, মোঃ হুমায়ুন কবির, মুফতী ইসহাক ফরীদি, গাজী ফেরদাউস সুমন, মোঃ মঈন উদ্দিন ভূইয়া, এ্যাডঃ কামাল হোসেন, মোল্লা রবিউল ইসলাম তুষার, কারী মোঃ জামাল উদ্দিন, মাওঃ নাসিম উদ্দিন, বীর মুক্তিযুদ্ধা জিএম কিবরিয়া, বন্দ সরোয়ার হোসেন, আলহাজ্ব মোঃ বাদশা খান, আলহাজ্ব মারুফ হোসেন, এইচ এম খালিদ সাইফুল্লাহ, মুফতী আমানুল্লাহ, এইচ এম আরিফুর রহমান, গাজী মিজানুর রহমান, মোঃ মঈন উদ্দিন, আলহাজ্ব আব্দুস সালাম, আলহাজ্ব আমজাদ হোসেন, আলহাজ্ব জাহিদুল ইসলাম টুটুল মোড়ল, মোঃ শহিদুল ইসলাম সজিব, মোঃ কবির হোসেন হাওলাদার, আবুল কাশেম, মোঃ বাদশাহ খান, মোঃ মিরাজ মহাজন, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম মহানগর সভাপতি জিএম এমদাদুল হক, শ্রমিক নেতা এস এম আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক পলাশ শিকদার, যুব নেতা মোঃ আব্দুর রশিদ, আব্দুস সবুর, ছাত্র নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোঃ মাহদী হাসান মুন্না, হাসিবুর রহমান শাকিল প্রমুখ। সমাবেশ শেষে বিশাল মিছিল নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।