আমতলীর হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামে ক্রাম খেলা নিয়ে সংঘর্ষে ১৪জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে স্বজনরা মুমুর্ষ অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেছে। শনিবার বেলা আড়াইটার সময় কালু চৌকিদার বাড়ির দরজার সামনে এঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আমতলী উপজেলার উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের কালু চৌকিদার বাড়ির দরজায় বসে শনিবার বেলা আড়াইটার সময় অলিউল চৌকিদার, সগির মীর, জুবায়েদ মীর, ও আরাফাত মীর ক্রাম খেলছিল। ক্রাম খেলা নিয়ে অলিউল চৌকিদারের সাথে অন্য তিন জনের বাগবিতন্ডা হয়। বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ রামদা, দা ও লাঠি নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। সংঘর্ষে দা রামদা ও লাঠির আঘাতে উভয় পক্ষের ১৪ জন আহত হয়। আহতরা হল আমির হামজা মীর (১৩), সৈয়দ রফিকুল ইসলাম মীর (৪০), আলমাছ মীর (৫০), মালেক মীর (৫০), নাসির মীর (৬২), আলামিন মীর(৬২), শামীম মীর (৩৪) ও মস্তফা মীর (১৪),মজনু চৌকিদার, (৫০), মাহবুব চৌকিদার (৪০), হাসান চৌকিদার (২৫), আবুল বাশার চৌকিদার (৪৫), রিয়াজুল চৌকিদার (২৮), ও এক দুই তিন নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য হেনা বেগম (৪০) গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে মীর বংশের স্বজনরা আহতদের উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে নিয়ে আসে। এবং চৌকিদার বংশের লোকজনকে গ্রামবাসী উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তাদেও সকলের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মুমুর্ষ অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলায় গুরুতর আহত নাসির মীর বলেন, অলিউল চৌকিদারের সাথে ক্রাম খেলা নিয়ে ছেলেদের সামান্য মারামারি হয়। এই অজুহাত তুলে কালু চৌকিদার বাড়ির ৮-১০ জন লোক মিলে তাদের বাড়ির দরজার সামনে ফেলে আমাদের উপর লাঠি নিয়ে হামলা করে ও দা দিয়ে কুপিয়ে ৮জনকে গুরুতর জখম করেছে। আমরা এঘটনার বিচার চাই।
আহত আরেক জন মজনু চৌকিদার বলেন, প্রতিপক্ষের ১২-১৩ জন মিলে দা রামদা নিয়ে আমাদের উপর হামলা করেছে। হামলা করে তারা আবার আমাদেরকে রক্তাত্ব অবস্থায় একটি ঘরের মধ্যে আটকিয়ে রাখে যাতে আমরা কোন চিকিৎসা করাতে না পারি। পরে গ্রামবাসী উপস্থিত হয়ে আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। আমরা এঘটনার সুস্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চাই।
আমতলী হাসপাতালের জরুরী বিভাগের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার জয়দেব হাওলাদার বলেন, আহতদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদেও বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।