ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে "মাদককে না বলুন, মাদকমুক্ত সমাজ গড়ুন" এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে হাজার হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে জমকাল আয়োজনের মধ্য দিয়ে নুরপুর এম এ হান্নান ফুটবল টুনার্মেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকালে নুরপুর,ব্রাহ্মণশাসন,চটিপাড়া ও পাঠানিশা গ্রামবাসীর উদ্যোগে নুরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয় ।
খেলায় নুরপুর এনবিসিপি ফুটবল একাদশ বনাম চৈয়ারকুড়ি মোজাহিদ ফুটবল একাদশ মুখোমুখী হয়। খেলায় চৈয়ারকুড়ি মোজাহিদ ফুটবল একাদশ ১-০ গোলে নুরপুর এনবিসিপি ফুটবল একাদশকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়।
খেলা শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার বিতরণ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ হান্নান। এসময় প্রধান অতিথি এম এ হান্নান “ তরুণ প্রজন্মকে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী করার পাশাপাশি মাদক ও অসামাজিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান। টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির আহবায়ক মনু মিয়া সর্দারের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব আকবর হোসেন শ্যামলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন,উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আইয়ুব খান,উপজেলা বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মো: আব্বাস আলী, উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব মাসুদুর রহমান চৌধুরী,উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমরান মিয়াসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এসময় আগত হাজার হাজার ক্রীড়াপ্রেমী দর্শকদের সরব উপস্থিতিতে টুর্নামেন্টটি উৎসবমুখর পরিবেশে পরিণত হয়।
এদিকে খেলা শুরু হওয়ার আগেই মাঠ কানায় কানায় দর্শকে পূর্ণ হয়ে যায়। অনেক দর্শক জায়গা না পেয়ে স্কুল ভবন ও আশপাশের বাসাবাড়ির ছাদ ও গাছে উঠে খেলা উপভোগ করেন।
ফুটবল টুর্নামেন্ট দেখতে আসা বৃদ্ধা জরিপ হোসেন জানান,আমার বয়স প্রায় ৭০ বছর, ‘আমার জীবনে আমি বিভিন্ন স্থানে খেলা দেখছি এতো মানুষ দেখি নাই। এ ফাইনাল খেলায় মানুষ হবে প্রায় ৩০-৩৫ হাজার।’
এ বিষয়ে টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব আকবর হোসেন শ্যামল জানান, এ খেলাটিতে এতো মানুষের সমাগম হবে ভাবতেই পারি নাই। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খেলায় কোন ঝগড়া বিবাদ হয়নি। পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটেনি আমরা আগামীতে আবারও এ খেলার আয়োজন করবো।
খেলা শেষে বিজয়ী ও পরাজিত দলের মধ্যে পুরুস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথি এম এ হান্নান । বিজয়ী দলকে মোটরসাইকেল ও পরাজিত দলকে একটি ফ্রীজ পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
খেলায় রেফারির দায়িত্ব পালন করেন শেখ সোহরাব জালালী। সহকারী রেফারি হাসিম ভূইঁয়া ও রাব্বি চতুর্থ রেফারি ছিলেন জাহাঙ্গীর। ধারা ভাষ্যকার ছিলেন মনির হোসেন।