রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন দীর্ঘ ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর রাকসু, সিনেট ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ২৮ হাজার ৯০৫ জন ভোটারের মাধ্যমে এই নির্বাচন সম্পন্ন হবে। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কোষাধ্যক্ষ কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রফেসর এফ নজরুল ইসলাম জানান, ভোট গণনা হবে ওএমআর (Optical Mark Recognition) মেশিনের মাধ্যমে।
তিনি বলেন, ছাত্রদলসহ দুইটি সংগঠন ম্যানুয়ালি ভোট গণনার দাবি জানিয়েছে। তবে এটি সম্ভব নয়। কারণ রাকসু, সিনেট ও হল সংসদ মিলিয়ে ভোটার সংখ্যা এতটাই বেশি যে হাতে গণনা করলে ফলাফল পেতে কয়েক দিন সময় লাগবে। তাই ভোট গ্রহণ ও গণনা উভয়ই ওএমআর শিট এবং মেশিনের মাধ্যমে হবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা করতে গিয়ে যে সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে, তা রাবিতে হওয়ার সুযোগ নেই।
এর আগে শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ছাত্রদল, ছাত্র অধিকার পরিষদ ও ছাত্র ফেডারেশন ম্যানুয়ালি ভোট গণনার দাবিসহ ১২ দফা প্রস্তাব দিয়েছিল। এছাড়া বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) প্যানেল ঘোষণার সময় রাবি শাখা ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সমর্থিত সচেতন শিক্ষার্থী সংসদও একই দাবি জানিয়েছিল। তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেধা ও সময়ের সীমাবদ্ধতার কারণে ওএমআর পদ্ধতি অপরিহার্য বলে জানান।
এদিকে রোববার দুপুরে 'ইউনাইটেড ফর রাইটস' প্যানেলের ১১ সদস্যের তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এই প্যানেলে ভিপি, জিএস ও এজিএস পদে প্রার্থী নেই। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে নতুনভাবে 'ইন্ডিপেনডেন্ট স্টুডেন্ট অ্যালায়েন্স' নামের একটি জোট আত্মপ্রকাশ করেছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, এবার রাকসুতে ২৪৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভিপি পদে ১৮ জন, জিএস পদে ১৪ জন ও এজিএস পদে ১৬ জন প্রার্থী রয়েছে। সিনেটে ৫৮ জন এবং হল সংসদে ৬০০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। রোববার বিকেল তিনটায় সিনেট ভবনে লটারি করে প্রার্থীদের ব্যালট নাম্বার প্রকাশ করা হবে। সন্ধ্যায় চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হবে।
প্রফেসর এফ নজরুল ইসলাম বলেন, রাকসু নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়, তার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ভোট গণনার ক্ষেত্রে ওএমআর পদ্ধতি নিশ্চিত করবে দ্রুত, স্বচ্ছ ও নির্ভুল ফলাফল।