ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীরা উপজেলা পরিষদ ও ভাঙ্গা থানায় ব্যাপক হামলা চালিয়েছেন। তারা উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে অগ্নিসংযোগও করেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এগিয়ে এলে স্বল্পসংখ্যক পুলিশ সদস্য জনতার ধাওয়া খেয়ে মডেল মসজিদে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা ১৫ মিনিটের দিকে আলগী ইউনিয়নের সোয়াদী থেকে বের হওয়া বিক্ষোভকারীরা ভাঙ্গা গোলচত্বর এলাকায় পৌঁছে হামলা শুরু করেন। এ সময় তারা সাংবাদিকদের ভিডিও ধারণ ও ছবি তুলতে বাধা দেন। পুলিশ সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হয়। ফলে উপজেলা পরিষদ, থানার ভবন ও অফিসার্স ক্লাবে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভাঙ্গার বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে মানুষ উপজেলা সদরের দিকে আসছিলেন। কেউ হেঁটে, কেউ ভ্যান-নসিমন বা মোটরসাইকেলে করে যোগ দেন বিক্ষোভে। এ কারণে ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলেও ভাঙ্গা সার্কেল, থানার ওসি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রোকিবুজ্জামান জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তারা কাজ করছেন।
প্রসঙ্গত, ফরিদপুর-৪ আসন থেকে আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন বাদ দিয়ে ফরিদপুর-২ আসনে যুক্ত করার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে দুই সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করছেন স্থানীয়রা। পূর্বের অবস্থান বহাল রাখার দাবিতে তারা রোববার থেকে টানা তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এর অংশ হিসেবে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচিতে সকাল ১১টা থেকে মহাসড়ক অবরোধ শুরু হয় এবং পরে দুপুরে সহিংসতায় রূপ নেয়।