রাজধানীর শাহবাগ ও রমনা থানার নাশকতার দুই মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ দলটির শীর্ষ ও মাঝারি পর্যায়ের ১০৬ নেতাকর্মীকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত এবং অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত পৃথকভাবে এ আদেশ দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ ও জাকির হোসেন জুয়েল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, শাহবাগ থানার মামলাটি ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার জামিন শুনানিকে ঘিরে দায়ের করা হয়। এর আগের দিন ১১ ডিসেম্বর বার কাউন্সিল ভবনের সামনে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে। পুলিশ অভিযোগ করে, এ ঘটনার মাধ্যমে বিচার বিভাগকে চাপে রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল। এ মামলায় বিএনপির শীর্ষ নেতা ফখরুল, আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ৭৭ জনকে আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে পুলিশ চলতি বছরের ১০ মে তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করে। আদালত সোমবার সেই প্রতিবেদন গ্রহণ করে তাদের অব্যাহতি দেন।
অন্যদিকে রমনা থানার মামলাটি দায়ের হয় ২০১৩ সালের ২ মার্চ। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি শান্তিনগর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিএনপি কর্মীরা সংঘর্ষে জড়ান। ওই ঘটনায় রমনা থানা পুলিশের এসআই আশফাক রাজীব হাসান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। অভিযোগপত্রে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশীদ হাবিবসহ ২৯ জনকে আসামি করা হয়। আসামিপক্ষের আপত্তির পর আদালত সোমবার তাদেরও অব্যাহতির আদেশ দেন।
আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেসবাহ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চলমান এই মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল। আদালতের এ আদেশ প্রমাণ করেছে যে এগুলো ভিত্তিহীন।