দেশের চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে ছয় দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে গণভোটের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি এবং সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ নির্বাচন। এ দাবিগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দলটি তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পল্টনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি জানান, ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল, ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের সব মহানগরে বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৬ সেপ্টেম্বর জেলা-উপজেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপিত ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—অবিলম্বে জুলাই জাতীয় সনদ ঘোষণা ও আইনি ভিত্তি প্রদান, ঘোষিত সনদের আলোকে ফেব্রুয়ারি ২০২৬-এর জাতীয় নির্বাচন আয়োজন, উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও তার দোসরদের অপরাধের বিচার, অবৈধ অস্ত্র-কালোটাকা ও পেশিশক্তিমুক্ত সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন, সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ।
খেলাফত মজলিস জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি প্রদানের জন্য দুটি প্রস্তাবও তুলে ধরে। এক, দুই মাসের মধ্যে গণভোটের মাধ্যমে সনদকে সাংবিধানিক বৈধতা প্রদান। দুই, রাষ্ট্রীয় পলিসি-সংক্রান্ত বিষয়গুলো অর্ডিন্যান্স বা নির্বাহী আদেশে বাস্তবায়ন এবং সংবিধানসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো রাষ্ট্রপতির সাংবিধানিক ঘোষণার মাধ্যমে কার্যকর করা। তবে এর সবকিছু পরবর্তী সংসদের প্রথম অধিবেশনে কোনো পরিবর্তন ছাড়া অনুমোদন করতে সংসদ সদস্যদের বাধ্য থাকার বিষয়ে লিখিত প্রতিশ্রুতি গ্রহণের শর্তও উল্লেখ করা হয়।
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের বলেন, দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ পিআর পদ্ধতির পক্ষে। তাই এ দাবি জনগণের আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন। তিনি আরও জানান, সরকার যদি জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি প্রদানে উদ্যোগী না হয়, তবে দলটি বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করবে।