চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় ১২৭টি পূজা মণ্ডপে আসন্ন শারদীয় দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে ফটিকছড়ি থানায় রয়েছে ৬৭টি এবং ভূজপুর থানায় রয়েছে ৬০টি পূজামণ্ডপ। স্ট্রাকিং, স্ট্রাইক, ফোর্স ও গোয়েন্দা তৎপরতা মিলে তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। সীমান্তবর্তী পূজামণ্ডপগুলোতে বিজিবি মোতায়ন করা হবে। দুই থানায় দুটি সেনাবাহিনীর দল টহলে থাকবে। পর্যাপ্ত সেচ্ছাসেবক, আনসার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে। দুষ্কৃতকারীদের ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর থেকে কঠোরতম অবস্থানে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।প্রত্যেক পূজামণ্ডপে প্রতিমার দিকে মুখ করে সিসি ক্যামরা স্থাপন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অপপ্রচার বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং এরজন্য একটি মনিটরিং টিম গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। আযান ও নামাজের সময় বাধ্যযন্ত্র সম্পূর্ণ নিষেধ করা হয়েছে।সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলা পরিষদের বীর মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতিমূলক সভায় এসব সিদ্ধান্তসহ একাধিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।সভায় বক্তব্য রাখেন পূজা উদযাপন পরিষদের উত্তর জেলার সভাপতি জুয়েল চক্রবর্তী, এনসিপি নেতা একরাম উল্লাহ, ফটিকছড়ি থানা জামায়াতের আমীর এম নাজিম উদ্দিন ইমু, আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের আল্লামা শহিদুল্লাহ আল হাদি, ফটিকছড়ি প্রেস ক্লাব সভাপতি এস এম মোরশেদ মুন্না, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব জহির আজম চৌধুরী, হারুয়ালছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন চৌধুরী, পল্লী বিদ্যুতের আজাদী বাজার জোনের ডিজিএম বজন কুমার, বিজিবি প্রতিনিধি মুহাম্মদ মশিউর, ভূজপুর থানার ওসি মাহাবুবুল আলম, ফটিকছড়ি থানার ওসি নুর আহমদ, সহকারী কমিশননার (ভুমি) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। সভায় পূজামণ্ডপের ইউনিয়ন, পৌরসভা ও থানা পর্যায়ের প্রতিনিধিগণ বক্তব্য রাখেন। সভায় উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সনাতনী ধর্মালম্বিরাসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।