পার্বতীপুরে জীবনের নিরাপত্তা চায় প্রাথমিক শিক্ষিকা আফরোজা খাতুন

এফএনএস (সোহেল সানী; পার্বতীপুর, দিনাজপুর) : | প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৭:৪৯ পিএম
পার্বতীপুরে জীবনের নিরাপত্তা চায় প্রাথমিক শিক্ষিকা আফরোজা খাতুন

পার্বতীপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট অভিযোগ গত ৪ আগষ্ট/২৫ ঝাউপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা তৈয়বা ও তার সহযোগি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার আসমা খাতুনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ করেন ওই স্কুলের আরেক সহকারি শিক্ষিকা আফরোজা খাতুন। এর প্রেক্ষিতে প্রায় মাস খানিক আগে পার্বতীপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: এনামুল হক সরকার উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার ইউনুস আলীকে আহবায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন, উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার মতিয়ার রহমান নিউটন এবং ঝাউপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাষ্টার ও সহকারি শিক্ষা অফিসার দোলোয়ার হোসেন। কমিটিকে এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিল। আহবায়ক কমিটি সময় স্বল্পতার অজুহাত দেখিয়ে এক মাসেও তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে পারেনি।   

আজ সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের ঝাউপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা আফরোজা খাতুন নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। পার্বতীপুর প্রেসক্লাবে জনাকীর্ণ এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। তিনি তার স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগে বলেন, বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আসমা খাতুন ও সহকারী শিক্ষিকা তৈয়বা খাতুন শিক্ষিকা আফরোজা খাতুনকে কারনে আকারনে মানষিক ও শারিরিক নির্যাতন করে আসছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা বিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময়ে দায়িত্বরত অবস্থায় ঘুমাতেন এবং বিলম্বে স্কুলে আসেন। এসব কারনে বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীদের পাঠদানে বিঘ্ন ঘটে। আমি গত ৪ আগষ্ট/২০২৫ সমস্যাগুলোর বিষয়ে পার্বতীপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাইনি। বরং উল্টো দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের নির্লিপ্ততার সুযোগে আসমা খাতুন তার আত্মীয় স্বজনকে লেলিয়ে দিয়ে আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে। তাদের ভয়ে আমি আমার মাকে নিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করছি। তারপরও আমাকে বাস্তা-ঘাটে আটক করে উত্তক্ত করে। তাই আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে আমি আমার জীবনের নিরাপত্তা চাইছি। 

ঝাউপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আসমা খাতুন জানান, স্কেল দিয়ে আমার বিষয়ে বলা হয়েছে। এধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। ওইদিন অর্থাৎ ২০২৪ সালের ২৮ জানুয়ারী আমি ছুটিতে ছিলাম। সঠিক সময়ে স্কুল আসা-যাওয়া করে থাকি। স্কুল ঘুমানোর জায়গা নয়। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ভিত্তিহীন।  

এব্যাপারে তদন্ত কমিটির আহবায়ক ও উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার মো: ইউনুস আলী জানান, জেলা ডিপিও স্যারকে তদন্ত রিপোর্ট পাঠানো হয়নি। ৭দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিল। আগামী দুই একদিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়া হবে তিনি দাবি করেন। 

এবিষয়ে পার্বতীপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: এনামুল হক সরকার বলেন, ডিপিও স্যারের নির্দেশে এক মাস আগে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু তদন্ত কমিটি এখনও পর্যন্ত রিপোর্ট জমা দেয়নি। হয়তো আগামীকাল তদন্ত রিপোর্ট পেয়ে যাবো আশা করছি।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে