পরিত্যক্ত ১০ বিএস কোয়াটারে বখাটেদের আড্ডাখানা

এফএনএস (মোঃ ইমদাদুল হক; সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা) :
| আপডেট: ৫ জানুয়ারী, ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম | প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০২:১১ এএম
পরিত্যক্ত ১০ বিএস কোয়াটারে বখাটেদের আড্ডাখানা

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের (বিএস) জন্য নির্মিত ১০টি কোয়াটার ও বীজ সংক্ষণাগার দীর্ঘ ৪০ বছর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় বখাটেদের আড্ডাখানায় পরিনত হয়েছে। ফলে সামাজিক পরিবেশ মারাত্বকভাবে দুষিত হচ্ছে। জানা গেছে, উপজেলার কৃষকদের চাষাবাদে সার্বিক পরামর্শ দোরগোলায় পৌছে দেয়ার লক্ষে দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে ১৫ ইউনিয়নের মধ্যে ১০টিতে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের (বিএস) জন্য কোয়াটার কাম বীজ সংরক্ষনাগার নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সেগুলোতে কর্মকর্তা অবস্থান না করায় দীর্ঘ ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে তা পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এতে করে কোয়াটার গুলোর অবকাঠামোর জরাজীর্ণ দশা হয়ে পড়ায় ভুতরে পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় নিরিবিরি মনে করে বখাটে যুবকরা প্রতিদিন কোয়াগুলোতে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবনসহ অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হচ্ছে। ফলে আশপাশের এলাকাগুলোতে ঘটছে সামাজিক অবক্ষয়। বেড়েছে ছিচকে চোরের উপদ্রুব। উঠতি বয়সের যুবকরা হয়ে পড়ছে নেশাগ্রস্থ। উপজেলা কৃষি বিভাগ কোয়াটার গুলো সংরক্ষন  করতে ব্যর্থ হওয়ায় কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট হচ্ছে। এ নিয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. মিজানুর রহমান সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বর্তমানে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে ভবনে মাঠ পর্যায়ের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের জন্য একটি করে রুম বরাদ্দ রয়েছে। উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাগণ ওই অফিসে বসে দাপ্তরিক কার্যক্রম করেন এবং কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এ কারণে কোয়াটার গুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, সুনিদিষ্ট অভিযোগ পেলে মাদক সেবনকারিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তার ভাষ্য মাদক সেবনকারিগণ সমাজের ভাল মানুষের মধ্যে পরে না। তারা যেই হোক না কেন, অবশ্যই তাদের ব্যাপারে পুলিশের অবস্থান অত্যন্ত শক্ত। উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রাশিদুল কবির বলেন, দীর্ঘদিন সংস্কার, মেরামত ও সংরক্ষণের অভাবে বিএস কোয়াটারগুলো বর্তমানে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে মাঠ পর্যায়ের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাগণ কৃষকদের সেবা প্রদানের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। ব্যবহার এবং সংরক্ষণ না করলে যেটি হয়, বিএস কোয়াটারগুলোর ক্ষেত্রে তাই হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা পেলে পরিত্যক্ত কোয়ারগুলোর ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো. মাসুদুর রহমান বলেন, সরকারি সম্পদ রক্ষণাবেক্ষনের জন্য সরকারি নিয়ম নীতি রয়েছে। যদি কোন দপ্তর সরকারি সম্পদ উদ্ধার করতে না পারে তাহলে ভুমি অফিসে অবগত করালে আইনগত ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাঁর ভাষ্য সরকারি পরিত্যক্ত ভবনে অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালিত হলে সুনিদিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. নাজির হোসেন বলেন, এ সংক্রান্ত কোন তথ্য তাঁর জানা ছিল না। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে আলোচনা করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।       


আপনার জেলার সংবাদ পড়তে