জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত আইন বাতিলসহ পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ দাবিতে সুপারিশ পেশ করেছেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা। তাদের মতে, এই সুপারিশগুলো বাস্তবায়িত হলে নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও প্রশাসনিক সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর), যা ছিল মঙ্গলবার, রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। আহ্বায়ক মোহাম্মদ মনির হোসেন গণমাধ্যমের সামনে এসব সুপারিশ উপস্থাপন করেন।
সুপারিশের অন্যতম বিষয় ছিল—‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২৩’ বাতিল করে জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম পুনরায় নির্বাচন কমিশনের আওতায় আনা। কর্মকর্তাদের দাবি, এই আইন বাতিল করে আগের ন্যায় এনআইডি কার্যক্রম কমিশনের অধীনে থাকলে তা নির্বাচন ব্যবস্থার অংশ হিসেবেই আরো দক্ষ ও নিরপেক্ষভাবে পরিচালিত হবে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ ছিল, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের পরামর্শ অনুযায়ী দ্রুত ‘নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫’ জারি করে ‘নির্বাচন কমিশন সার্ভিস’ গঠন করা। এতে কমিশনের নিজস্ব জনবল দিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা করার সুযোগ তৈরি হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
তারা আরও বলেন, প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম অনুমোদন, নতুন পদ সৃজন, আপগ্রেডেশন এবং প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সহায়তা নিশ্চিত করাও এখন সময়ের দাবি। পাশাপাশি, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে ২৭ সেপ্টেম্বর, শনিবার ‘নির্বাচন কর্মকর্তা সম্মেলন-২০২৫’ আয়োজনের আহ্বান জানানো হয়। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রস্তুতিমূলক কমিটিও গঠনের সুপারিশ করেছেন তারা।
এই পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন হলে নির্বাচন কমিশন শুধু একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবেই নয়, বরং কার্যকর ও আত্মনির্ভরশীল এক প্রশাসনিক কাঠামো হিসেবেও নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে—এমনটাই মনে করছেন কমিশনের অভ্যন্তরীণ কর্মকর্তারা।