জাতিসংঘের ৮১তম সাধারণ অধিবেশনের সভাপতির পদের জন্য বাংলাদেশের প্রার্থিতা অব্যাহত রয়েছে এবং ফিলিস্তিন এই প্রক্রিয়ায় অনেক পরে যোগ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দোহায় অনুষ্ঠিত জরুরি আরব-ইসলামিক সম্মেলন থেকে ফিরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, অনেক সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে যে, বাংলাদেশ এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে। তবে, তিনি স্পষ্ট করেন যে, এটি ভুল ব্যাখ্যা। "ফিলিস্তিন বাংলাদেশের মুখোমুখি নয়, বরং ফিলিস্তিন বাংলাদেশের মুখোমুখি হয়েছে," বলেন তিনি। বাংলাদেশের জন্য জাতিসংঘের সভাপতির পদের প্রার্থিতা কয়েক বছর আগে থেকেই ঘোষণা করা হয়েছিল এবং সেই সময় সাইপ্রাসও প্রার্থিতা ঘোষণা করেছিল, কিন্তু ফিলিস্তিন অনেক পরে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
এছাড়া, তৌহিদ হোসেন কাতারে ইসরায়েলি হামলার প্রসঙ্গে বলেন, "ইসরায়েলি হামলার ঘটনায় বাংলাদেশের অবস্থান খুবই স্পষ্ট, আমরা কাতারের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি এবং ইসরায়েলের বর্বরতা তীব্রভাবে নিন্দা করেছি।" তিনি আরও জানান, গত আগস্টে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দুবাই ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ বন্ধ করার চেষ্টা করলেও আলোচনার সময় হামলার ঘটনা ঘটেছে।
কাতারের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন ছিল দৃঢ় এবং এটি আরব দেশগুলোর একই অবস্থান প্রতিফলিত করে। বাংলাদেশসহ অধিকাংশ দেশ কাতারের পাশে দাঁড়িয়ে এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে। উপদেষ্টা আরও জানান, এই সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল কাতারের প্রতি সমবেদনা জানানো এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইসরায়েলি বর্বরতা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা।