যশোর উপশহর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ

এফএনএস (জি. এম ফারুক আলম; মণিরামপুর, যশোর) :
| আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৭:১৮ পিএম | প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৫:৪৮ পিএম
যশোর উপশহর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ

যশোরের ২৯নং নূতন উপশহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ রশিদা বেগমের বিরুদ্ধে সহকারি শিক্ষকবৃন্দ এবং অভিভাবকবৃন্দ পৃথকভাবে উপজেলা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের বিভিন্ন অনিয়ম, দায়িত্বে গাফিলতি, অশোভনীয় ও অস্বাভাবিক আচরণ, আর্থিক অনিয়ম, বিদ্যালয়ের কর্ম পরিবেশ নষ্ট, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রতি দায়িত্বে অবহেলা, অপেশাদারিত্ব আচরণ, সহকর্মীদেরকে চাকুরীচ্যুতির হুমকি এবং অসদচারণের কথা উল্লেখ রয়েছে। কিন্ত অভিযোগের পরও উপজেলা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় অভিভাবকদের তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এমতাবস্থায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছে অভিভাবক মহল'সহ সহকারী শিক্ষক মণ্ডলীরা।

সহকারি শিক্ষকরা লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, প্রধান শিক্ষক নিয়মিত স্কুলে উপস্থিত থাকেন না। তিনি শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরন করেন এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছেন। অভিভাবকেরা তাদের অভিযোগে দাবি করেছেন, প্রধান শিক্ষকের কারনে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মান মারত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এমনকি বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রম ও সরকারি বরাদ্দ ব্যবস্থাপনাও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া তাদের সন্তানরা বিদ্যালয়ে গিয়ে পড়াশোনা করার বদলে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। প্রধান শিক্ষকের কারণে শিক্ষার পরিবেশ ভেঙ্গে পড়েছে। অথচ বারবার অভিযোগ করার পরও কোন কার্যকরী পদক্ষেপ মিলছে না। 

ওই বিদ্যালয়ের একজন সহকারি শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রধান শিক্ষকের আচরনে আমরা দুঃখিত। শিক্ষকদের সম্মান না দিয়ে উল্টো তিনি ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। ফলে সঠিকভাবে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। তিনি আরও জানান, উপজেলা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে অভিযোগ জমা দেওয়ার পরও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এতে শিক্ষক মণ্ডলী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। 

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ রশিদা বেগমের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমি বর্তমানে ছুটিতে আছি এবং বদলির জন্য আবেদন করেছি।

সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ মুহিদুল ইসলাম জানান, অভিযোগের তদন্ত দায়িত্বভারের চিঠি আমি এখনো হাতে পায়নি। তবে, ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং অভিভাবকদের সাথে প্রধান শিক্ষককের সম্পর্কের অবনতির বিষয়টি সত্য। তিনি আরও বলেন, প্রধান শিক্ষক বদলির জন্য আমার নিকট একটা আবেদন করে ছিলেন। যেটা জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট জমা দেওয়া হয়েছে। 

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আশরাফুল আলম বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। সদর থানার এটিও'কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে