দুই ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম ও মেহেদুল ইসলাম বিরুদ্ধে সরকারি ভিজিএফের চাল আত্মসাতের বিষয়ে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছেন পার্বতীপুর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: মতিয়ার রহমান প্রামাণিক। গত ৪ মাসে পরপর তিনটি কারণ দর্শানোর নোটিশের একটির জবাব দেয়নি ভিজিএফ চাল আত্মসাতের সাথে অভিযুক্ত ওই দুই ইউপি সদস্য।
কারন দর্শানো নোটিশ ও অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, মোস্তফাপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মেহেদুল ইসলাম ভিজিএফের চাল উপকারভোগীদের ওজনে কম দিয়ে ইউপি সদস্য সাইফুল তিন বস্তা ও মেহেদুল ইসলাম ২ বস্তা ভিজিএফের চাল খোলা বাজারে বিক্রির সময় গ্রামাবাসী আটক করে। মোস্তফাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান প্রামাণিক কাছে অভিযোগ করেন গত ২২ মে/২৫ ওই ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামের কৃষক রিয়াজুল ইসলাম ও হরিহরপুর গ্রামের রাজমিস্ত্রী রঞ্জু আক্তার হিরা।
বিষয়টি অর্থের বিনিময়ে সমঝোতার অভিযোগ দেয় এলাকাবাসী। এরপর ইউপি চেয়ারম্যান গত ১ জুন সাইফুল ইসলাম এবং মেহেদুল ইসলাম ইউপি সদস্যকে পর পর ৩টি কারণ দর্শানোর নোটিশ করেন। কিন্ত অজ্ঞাত কারণে ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অভিযুক্ত ওই দুই ইউপি সদস্য কারণ দর্শানো নোটিশ গ্রহণ করার পর ৪ মাসেও একটিও কারণ দর্শনোর নোটিশের জবাব দেয়নি বলে জানিয়েছেন মোস্তফাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান প্রামাণিক।
এব্যাপারে ভিজিএফের চাল আত্নসাৎ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে, অভিযুক্ত দুই ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম এবং মেহেদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংশা করা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানের করা পরপর তিনটি কারণ দর্শানো নোটিশ বিষয়ে কোন প্রশ্নের জবাদ দিতে পারেনি। কারণ বিষয়টি সমঝোতা হয়েছে তিনি দাবী করেন। আজকে আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যারের সাথে বসবো। সব ইউপি সদস্যগন এসেছে আলোচনা করা হবে।
এব্যাপারে মোস্তফাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: মতিয়ার রহমান প্রামাণিক ভিজিএফের চাল আত্নসাতের বিষয় সত্যতা স্বীকার করেন, এরজন্য অভিযুক্ত দুই ইউপি সদস্যকে গত চার মাসে পর পর ৩টি নোটিশ দিয়েছি, এখন পর্যন্ত একটি কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দেয়নি। বিষয়টি পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সাদ্দাম হোসেন স্যার কে অবগত করেছি।