জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কর্মকর্তাদের অনিয়ম গাফিলতি কারণে

পুঠিয়ায় ১৩ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুরা বাধ্য হয়ে খোলাস্থানে মলমূত্র ত্যাগ করছে

এফএনএস (কে এম রেজা; পুঠিয়া, রাজশাহী) : | প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৭:৩৮ পিএম
পুঠিয়ায় ১৩ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুরা বাধ্য হয়ে খোলাস্থানে মলমূত্র ত্যাগ করছে

রাজশাহীর পুঠিয়ায় ১৩ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাথরুমের নির্মাণ কাজ শেষ না করায় শিশুরা বাধ্য হয়ে খোলাস্থানে মলমূত্র ত্যাগ করার অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষকরা বলছেন, শিশুরা বাধ্য হয়ে বিভিন্ন খোলাস্থানে মলমূত্রের কাজগুলি করছে। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কর্মকর্তাদের অনিয়ম গাফিলতি কারণে তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করার বাথরুম (ওয়াসব্লক) নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না করে সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদার পালিয়েছেন। জানা গেছে,২০২১ সালে ৩টি কাজ এবং ২০২৪ অর্থ বছরের পুঠিয়া উপজেলায় আরো ১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করার বাথরুম (ওয়াসব্লক) নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ইতোমধ্যে বাশঁপুকুরিয়া, গন্ডগোহালী ও গাঁওপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় তিনটি কাজের দায়িত্ব পেয়ে ছিলেন সারা ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। তারা বিদ্যালয় তিনটির কাজ শেষ না করে পালিয়েছেন। একটি কাজের ব্যয় ধরা হয়ে ছিল ১৪ লাখ ২৮ হাজার টাকা করে। ২০২৪ইং সালে উজালপুর, ফুলবাড়ি, মোহনপুর, ভূবননগর নওদাপাড়া, ঝলমলিয়া, পীরগাছা, বিড়ালদহ, ভাড়রা, কান্দ্রা কারবালা, মীরওসমানসহ ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের ওয়াসব্লকের কাজ করার দায়িত্ব পান জোবেদা কনেস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি ছয় মাস ধরে কাজ সম্পন্ন না করে ফেলে রেখেছেন। যে ১০টি গাফিলতির মাধ্যমে ছয় মাস ধরে ফেলে রাখা হয়েছে। তার একটি কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকা করে।  বাঁশপুকুরিয়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কুমার সরকার বলেন, বর্তমানে বিদ্যালয়ে যে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করার বাথরুম আছে তা ব্যবহার করার মতো না। ঠিকাদার এবং শিক্ষা অফিসকে একাধিকবার বাথরুমের সমস্যার বিষয়ে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে ওয়াসব্লক নির্মাণের কাজগুলি শেষ করার  প্রয়োজন রয়েছে। শিশু বাচ্চারা বাধ্য হয়ে খোলা মাঠে কিংবা বিদ্যালয়ের পাশের বাড়িতে গিয়ে বাথরুমের কাজ করতে হচ্ছে। উজালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মনছুর রহমান বলেন, ঠিকাদার দীর্ঘদিন ধরে কাজগুলি করছেন। তারা নির্মাণ কাজ শেষ করছেন না। নির্মাণ সামগ্রীগুলো বিদ্যালয়ের ভিতর অরক্ষিত অবস্থায় ফেলে রেখেছেন। এতে করে যেকোনো সময়ে শিশুরা দুর্ঘটনা শিকার হতে পারে। এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার মকবুল হোসেন বলেন,অর্থ সংকটের কারণে কাজ সাময়িক বন্ধ করে রাখা হয়েছে। আগামী সপ্তাহের ভিতর পূনরায় কাজ শুর করবো।

  এ ব্যাপারে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, যে তিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাথরুমের নির্মাণ কাজ ঠিকাদার ফেলে রেখে পালিয়ে ছিলেন। তারা পুনরায় কাজ শুরু করেছেন। বাঁকি যে ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঠিকাদার কাজ না করার অভিযোগ উঠেছে তারাও আগামী সপ্তাহ হতে নির্মাণ কাজ শুরু করার কথা রয়েছে।    

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে