সীমানা চিহ্নিত না করে বাঁকখালী নদীর জমি উদ্ধারে উচ্ছেদ ও নিলাম কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ

এফএনএস (কক্সবাজার প্রতিনিধি) : | প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০২:১৪ পিএম
সীমানা চিহ্নিত না করে বাঁকখালী নদীর জমি উদ্ধারে উচ্ছেদ ও নিলাম কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ

সীমানা চিহ্নিত না করে কক্সবাজার বাঁকখালী নদীর জমি উদ্ধারে অবৈধ উচ্ছেদ ও নিলাম কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন আদালত। মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপীল-১৫৩৪/২৪ইং এ নিষেধাজ্ঞা আদেশ অমান্য করে গত ১ সেপ্টম্বর থেকে ৫ দিন বকক্সবাজার বাকঁখালী খালের জমি উদ্ধারের নামে মহামান্য হাইকোর্টে বেলা কর্তৃক দায়েরকৃত রীট পিটিশন মামলা নং-৮৩২৫/১৪ইং মামলার রায়ের অজুহাতে জেলা প্রশাসন ও বিআইডাব্লিউটিএ উচ্ছেদ  কার্যক্রম পরিচালনা করেন। ১ম ও ২য় দিন কস্তরাঘাট, বদরমোকাম, এডভোকেট খালেক চেয়ারম্যানের বসতবাড়ী ও খুরুশকুল মৌজাভুক্ত উকিলপাড়া নামক স্থানে বাড়ীঘর উচ্ছেদ করা করে।  পরে পেশকারপাড়া ও নুনিয়ারছড়া বাধাপ্রাপ্ত হলে উচ্ছেদ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। 

এরই মধ্যে বিআইডাব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ মাটি খননের নিলাম বিজ্ঞপ্তি দিলে ভুক্তভোগী পক্ষে এডভোকেট মোহাম্মদ ইসমাইল বাদী হয়ে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালতে কন্টেম্প পিটিশন -  ৫৮/২৫ মামলা ফাইল করেন। এদিকে গত ১৮ সেপ্টেম্বর উভয়পক্ষে শুনানী শেষে মাননীয় আদালত সকল কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ  প্রদান করেন। এ আদেশের মাধ্যমে বিআইডাব্লিউটিএ কর্তৃক অবৈধ উচ্ছেদ ও মাটি খননের কার্যক্রম মামলা নিস্পত্তিকালক স্থগিতাদেশ দেয়া হয়েছে। 

এখানে ভুমি সচিব খলিলুর রহমান, নৌ পরিবহন সচিব মো: ইউছুপ, বিআইডাব্লিটিএ চেয়ারম্যান কমড়োর আরিফ আহাম্মদ মোস্তাফা, পরিচালক এটিএম আরিফ উদ্দিন, ডিডি কামরুজ্জামান, সহকারী পরিচালক খাইরুজ্জামান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, এডিসি নাজিম উদ্দিন আহাম্মদ, এডিএম শহিদুল আলম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিলুফার ইয়াসমিন, সহকারী কমিশনার (ভুমি) শারমিন সুলতানা, এসপি সাইফুদ্দিন শাহীন ও ওসি ইলিয়াছ খানকে বিবাদী করা হয়েছে বলে লইয়ার সনদের মাধ্যমে জানা গেছে।

এদিকে খুরুশকুল মৌজায় বসবাসরত ২৬আইনজীবী ও তৎসংলগ্ন উকিলপাড়ার বাসিন্দাদের অভিযোগ তাদের জমি ব্যক্তি মালিকানাধীন আরএস,বিএস খতিয়ানভুক্ত জমি এবং খুরশকুল মৌজা ভুক্ত।

বেলার মামলার ব্যক্তি মালিকানাধীন এসব জমি তপসীলে ও চৌহর্দ্দীতে ছিলনা। তপসীলের জমি নিয়ে মহামান্য হাইকোর্টে গত ১২/০৩/২৪ইং রীট পিটিশন মামলা নং-৩০৯৫/২৪ইং দায়ের করা হলে নিষেধাজ্ঞা আদেশ দেয়া হয়। পরে উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে বেলা মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালতের সিভিল মিচ পিটিশন- ৩০০/২৪ইং দায়ের করেন। পরর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপীল-১৫৩৪/২৪ইং মুলে পূর্ণ বেঞ্চে চুড়ান্ত শুনানী হলে বেলার মামলা খারিজ করে এবং মহামান্য হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা আদেশ বহাল রাখে। কিন্তু সবকিছু জেনে-বুঝে বিবাদীপক্ষ আদালত অবমাননা করে বলে ভুক্তভোগী পক্ষ জানায়।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে