পিরোজপুর জেলায় এবার ৪৬৫ টি মন্ডপে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এ বছর পিরোজপুর সদর উপজেলায় ৫৮টি, নাজিরপুরে ১২৬টি, নেছারাবাদে ১০১টি, ইন্দুরকানীতে ২৩টি, কাউখালীতে ২৫টি, ভান্ডারিয়ায় ৪৮টি ও মঠবাড়িয়া উপজেলায় ৭৫টি মন্দিরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় উৎসবকে সামনে রেখে জেলার ৭ উপজেলার গুনরাজদের (প্রতিমা শিল্পী) রাত-দিন ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে। কোনো কোনে মন্দিরে মাটির কাজ শেষ করে প্রতিমায় দেওয়া হচ্ছে সাদা খরি। আবার কোথাও শেষ মুহুর্তে চলছে রং-তুলির আঁচর। জেলা শহরের পালপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে প্রতিমা শিল্পীরা প্রতিমা তৈরিতে তাদের শেষ সময় পার করছেন। গুনরাজ (শিল্পী) সঞ্জয় পাল জানান, এ বছর অনেক আগে থেকেই মণ্ডপগুলো থেকে অর্ডার এসেছে। এখন প্রতিমার মাটির কাজ শেষ, সাদাখড়ির পাশাপািশ রং এর কাজও চলছে।
এদিকে আসন্ন দূর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উদযাপনের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান জানিয়েছেন, পূজা নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণ করতে সব মন্ডপে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃংখলা রক্ষাকারী সদস্য নিয়োজিত রাখা ছাড়াও টহল পুলিশ ও মন্ডপের নিরাপত্তা সুরক্ষায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।
পুলিশ সুপার খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের জানান, নির্বিঘ্ন এবং শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা উদযাপন নিশ্চিত করতে সাড়ে ৪০০ পুলিশ সদস্যসহ নানা স্তরের নিরাপত্তা প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। গোটা জেলায় থাকবে কড়া নজরদারি। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দোলা গুহ ও পিরোজপুর সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা আশাবাদী শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই জেলার সব উপজেলায় দুর্গোৎসব সম্পন্ন হবে।
এবার ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে দূর্গোৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে ২৮ সেপ্টেম্বর। বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জনে ২ অক্টোবর শেষ হবে এ উৎসব।