বাড়ি ঘর ভাংচুর,মালামাল লুট,মিথ্যে অপপ্রচার,কর্মস্থলে যেতে বাঁধা প্রদান এবং প্রাননাশের হুমকি দাতাদের বিচার চেয়ে নীলফামারীর সবুজপাড়ার বাসিন্দা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহায়ক মোছাঃ সুমি আক্তার কল্পনা এক সংবাদ সম্মেলন করেন। ১৯ সেপ্টেম্বর সৈয়দপুর প্লাজার দ্বিতীয় তলায় একটি রেস্টুরেন্টে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন ছিল। এতে উপস্থিত ছিলেন মোছাঃ মৌসুমি আক্তার মৌ, আহনাফ আবিদ শিহাব,আলেয়া বেগম, আল আমিন ও কাশফিয়া আক্তার কনা।
সংবাদ সম্মেলনে সুমি আক্তার কল্পনা বলেন,চাকুরিচূত্য নৈশ প্রহরী হাবিবুল্লাহ পায়েল ও জেলা শিক্ষা অফিসের কতিপয় স্টাফ আমার নামে মিথ্যে অপবাধ রটাচ্ছে। যা মিথ্যে, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। তারা সামাজিকভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করছে। আমি প্রতিবাদ করলে তারা আমার বসবাসের ঘর ভেঙ্গে দেয়। ঘরে থাকা প্রায় ১২ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় বাঁধা দিলে ডোমার উপজেলা শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী মোঃ আব্দুল নুর, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী মোঃ আবু তালেব,কম্পিউটার অপারেটর মোঃ মামুন, মেজবাউল হক,মতিয়ার রহমান, শ্যামল কুমার, মোঃ মানিক হোসেন, মোঃ লিমন আমার শ্লীলতাহানি ঘটায়। বেশি বাড়াবাড়ি করলে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। সেই সাথে আমাকে কর্মস্থলে যেতে বাঁধা দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে আমি তাদের ভয়ে অফিসে যেতে পারছি না।
এ বিষয়ে আমি নীলফামারী সদর থানায় একটি অভিযোগ করি। তাতেও কোন আইনি সহযোগিতা পাচ্ছি না। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
আমি একজন অসহায় নারী। ছোট ওই চাকুরিটি করে আমার পরিবার চলে। সেটিও আজ হুমকির মুখে। চাকুরি,পরিবার,মিথ্যে অপবাদ নিয়ে যারা আমাকে নিয়ে খেলছে আমি তাদের শাস্তি চাই।